যশোর প্রতিনিধি
যশোর শহরের শংকরপুরে আলোচিত কলেজছাত্র নুর হোসেন হত্যা মামলায় প্রধান দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গত রবি ও সোমবার পৃথক স্থান থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ফুটবল খেলা নিয়ে বিরোধ ও পূর্বশত্রুতার জেরে কলেজছাত্র নুর হোসেনকে গত শনিবার রাতে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন শহরের শংকরপুর চোপদারপাড়া এলাকার সাইদুল ওরফে পচা। একই সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি। খুলনার ডুমুরিয়া এলাকার মামাবাড়ি থেকে গত রোববার রাতে সাইদুল ওরফে পচাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অন্যদিকে, শংকরপুর চোপদারপাড়া এলাকার রনি ওরফে কানা রনিকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকার সিরাজদিখানা থানা এলাকা থেকে কানা রনিকে আটক করে ডিবি পুলিশ।
গতকাল রাতে পিবিআই পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান,
হত্যাকাণ্ডের পরপরই রহস্য উদ্ঘাটন ও আসামিদের ধরতে মাঠে নামে পিবিআই যশোরের একটি দল। দুই দিন ধরে যশোর ও খুলনার বিভিন্ন এলাকায় তারা অভিযান চালায়। গত রোববার রাতে ডুমুরিয়া এলাকা থেকে সাইদুল ওরফে পচাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারের পর হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন সাইদুল।
গতকাল রাতে ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুপন কুমার সরকার জানান, ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে যশোর আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজের শিক্ষার্থী নুর হোসেনকে গত শনিবার রাতে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় নিহতের মা আম্বিয়া খাতুন গত রোববার ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার তদন্তে নেমে ডিবি পুলিশ গোপন সংবাদে জানতে পারে, হত্যার অন্যতম আসামি শংকরপুর চোপদারপাড়ার রনি ওরফে কানা রনি ঢাকায় পালিয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকার সিরাজদিখানা থানা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি হত্যায় জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এই মামলার পলাতক আসামিরা হলেন চোপদারপাড়ার রিয়াদ, বাধন, আশিক, পাপ্পু, আলী আহম্মেদ, মনিরুল ইসলাম, আকাশ ও সোহাগ।