ফারুক হোসাইন রাজ, কলারোয়া (সাতক্ষীরা)
উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে গিয়ে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হওয়া আবীর হোসেনের মায়ের আহাজারি থামছেই না। সন্তানের মুখ শেষবারের মতো দেখতে অপেক্ষায় রয়েছেন মা আঞ্জুয়ারা বেগম। কোনো প্রকার হয়রানি ছাড়াই অতি দ্রুত যুক্তরাষ্ট্র থেকে মরদেহ দেশে ফেরত চান স্বজনেরা।
আজ রোববার সকালে সাতক্ষীরা কলারোয়ার হেলাতলা ইউনিয়নের ঝাঁপাঘাট শেখপাড়া গ্রামে আবীর হোসেনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, আবীরের মা আঞ্জুয়ারা বেগম ছেলের ছবি বুকে জড়িয়ে অঝোরে কাঁদছেন। পাশে আবীরের ভাইবোন ও প্রতিবেশীরা মলিন মুখে বসে রয়েছেন।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশ সময় গতকাল শনিবার সকাল ৯টার দিকে আবীর হোসেনের কফি শপে টাকা ও মালামাল লুট করার উদ্দেশ্যে একদল সন্ত্রাসী প্রবেশ করে। সন্ত্রাসীদের বাধা দিয়ে মালিকের কাছে ফোন করার চেষ্টা করছিলেন আবীর। এ সময় ডাকাতদের একজন তাঁকে গুলি করে পালিয়ে যায় তারা। গুলিবিদ্ধ আবীর হোসেন সেখানেই মারা যান। আবীরের মরদেহ দেশে নিয়ে আসার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
প্রতিবেশী শেখ মনিরুল ইসলাম বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত এক আত্মীয়ের মাধ্যমে আবীরের মৃত্যুর ঘটনা জেনেছেন তাঁরা। মৃতদেহটি অতি দ্রুত ফিরে পেলে তাঁর নিজ বাড়ি কলারোয়ার ঝাঁপাঘাট গ্রামের শেখপাড়ায় দাফন করা হবে।
আবীরের মেজো ভাই জাকির হোসেন বলেন, ‘অন্য দেশের আইন ও বিচার বিভাগের প্রতি নাক গলায় আমেরিকা। সেই আমেরিকার মতো একটা দেশে পড়তে যাওয়া আমার ভাইকে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়েছে। সেখানকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হত্যায় জড়িত থাকা সন্দেহে দুজনকে আটক করে একজনকে ছেড়ে দিয়েছে।’
কোনো হয়রানি ছাড়াই আবীরের মরদেহ অতি দ্রুত ফেরত এবং আবীর হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীদের শাস্তির দাবি জানান তিনি ও তাঁর পরিবার।