সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
প্রজনন মৌসুমকে ঘিরে দুই মাস সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে কাঁকড়া ধরার নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। কাল বুধবার থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সুন্দরবনের পশ্চিম ও পূর্ব এই দুই বিভাগে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বনবিভাগ।
বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সুন্দরবনের ৬ হাজার ১৭ বর্গ কিলোমিটার বাংলাদেশ অংশে জলভাগের পরিমাণ এক হাজার ৮৭৪ বর্গকিলোমিটার, যা পুরো সুন্দরবনের আয়তনের প্রায় ৩১ ভাগ।
সুন্দরবনের জলভাগে ২১০ প্রজাতির সাদা মাছ, ২৪ প্রজাতির চিংড়ি ও ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া রয়েছে। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি এ দুই মাস কাঁকড়ার প্রজনন মৌসুম। তাই ৫৯ দিনের জন্য জেলেদের সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরার অনুমতি বন্ধ রাখে বন বিভাগ।
বুড়িগোয়ালিনী এলাকার কাঁকড়া ধরার জেলে আবুল হোসেন বলেন, ‘আর্থিকভাবে সচ্ছল কোনো লোক সুন্দরবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাঁকড়া ধরতে যায় না। যাঁরা যায়, তাঁরা সবাই গরিব মানুষ। দুই মাস নিষেধাজ্ঞায় জেলেদের চলতে কষ্ট হয়। মহাজনদের কাছ থেকে দাদন নিয়ে চলতে হয়।’ এ সময় সরকারি সহায়তা খুবই দরকার হয় বলে জানান তিনি।
সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ অফিস সূত্র জানায়, সাতক্ষীরা রেঞ্জের আওতায় বুড়িগোয়ালিনী, কদমতলা, কৈখালী ও কোবাদক ফরেস্ট স্টেশনের আওতায় দুই হাজার ৯০০টি নৌকার সুন্দরবনে প্রবেশের অনুমতিপত্র আছে। এর মধ্যে কাঁকড়া ধরার অনুমতিপত্র আছে এক হাজার ৬০০ টির।
জানতে চাইলে বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) জিয়াউর রহমান জানান, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে কাঁকড়া ডিম পাড়ে। ডিম পাড়ার সময় ক্ষুধার্ত থাকে বলে এদের ধরা খুবই সহজ। যদি এ সময় কাঁকড়া শিকার না করা হয়, তাহলে পরের বছর বেশি কাঁকড়া উৎপাদন সম্ভব।