কুষ্টিয়ায় পল্লিচিকিৎসক লুৎফর রহমান সাবু হত্যা মামলায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আজ রোববার দুপুরে কুষ্টিয়ার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ছুমিয়া খানম এই রায় ঘোষণা করেন। ২০১৭ সালের ১১ জানুয়ারি মিরপুর উপজেলার আমবাড়িয়া ইউনিয়নে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন জেলার মিরপুর উপজেলার আমবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন জাসদের সভাপতি মশিউর রহমান মিলন, জসিম উদ্দিন, এখলাস হোসেন, মুরাদ আলী, মাহাবুল হোসেন, রাশেদুল ইসলাম, ওয়াসিম, রফিকুল ইসলাম ও হেলাল উদ্দিন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের বাড়ি মিরপুরের আমবাড়িয়া গ্রামে। রায় ঘোষণার সময় সাত আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁদের কঠোর নিরাপত্তায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় পরশ আলী নামের এক আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১১ জানুয়ারি দুপুরে মোটরসাইকেলে করে আলমডাঙ্গায় যাওয়ার জন্য লুৎফর রহমান সাবু ও তাঁর ছোট ভাই হাবিবুর রহমান বাড়ি থেকে বের হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় লুৎফর রহমানের মোবাইল ফোনে কল এলে তিনি তাড়াহুড়ো করে বাড়ি থেকে বের হয়ে চলে যান। কিছু সময় পর হাবিবুর রহমান বাইরে গিয়ে দেখতে পান, আমবাড়িয়া কবরস্থানের সামনে আসামি মশিউর রহমান মিলনের হুকুমে অন্য আসামিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে লুৎফর রহমানকে কুপিয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। এতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ঘটনাস্থলেই লুৎফর রহমান মারা যান।
ঘটনার পরদিন নিহতের ভাই হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে মিলনসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ৮ থেকে ১০ জনকে আসামি করে মিরপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।
কুষ্টিয়ার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) খন্দকার সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ১০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছিলেন। পরে দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালতে স্বাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে ৯ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন।