মাগুরায় ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়ে নিহত শিশুটির বিষয়ে তদন্ত কার্যক্রম এখন পর্যন্ত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে হওয়া মামলায় চলছে। পুলিশ বলছে, কাজ দ্রুত গতিতে আগাচ্ছে। শিশুটির লাশের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন আগামীকাল রোববার পাওয়ার পর এ ক্ষেত্রে হত্যা মামলা যোগ হতে পারে।
আলোচিত এ ঘটনায় চার আসামি গ্রেপ্তার আছেন। তাঁরা হলেন শিশুটির বড় বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি, স্বামী ও ভাশুর। ১২ মার্চ চারজনকে বিশেষ নিরাপত্তায় ঢাকায় তিন পুরুষ আসামির ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ঢাকায় সিআইডির ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরিতে তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করা হয় বলে তখন জানান মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিরাজুল ইসলাম।
এর মধ্যে শিশুটি চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ মারা যায়। শিশুটির জানাজায় অংশ নিয়ে খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মো. রেজাউল হক সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘মামলার তদন্তের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে ডিএনএ ম্যাচিং করা। সেটা খুব দ্রুততার সঙ্গে করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই কাজটি বাংলাদেশ পুলিশের হায়েস্ট প্রায়োরিটি (সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার)। রেঞ্জের ডিআইজি হিসেবে আমিও মামলার তদন্তের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে আছি।’
শিশুটির মা আজ শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দ্রুত বিচার করতে হবে। আমার মনিরে যারা মেরে ফেলিছে তাদের সবার ফাঁসি চাই। আমার একটা মেয়ে মারা গেছে, কিন্তু আমাদের পরিবারটা একেবারে শেষ করে দিয়েছে এই আসামি নামের নরপিশাচরা।’
এ নিয়ে কথা হলে মাগুরা জেলা পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা বলেন, ‘আগামীকাল রোববার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর চলমান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন মামলার সঙ্গে হত্যা মামলা যোগ হতে পারে।’ তদন্তের বিষয়ে তিনি আর কিছু না জানিয়ে বলেন, ‘এটা দ্রুত গতিতে আগাচ্ছে।’