কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের চিলমারী সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারত সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর (বিএসএফ) সৌজন্য সাক্ষাৎ ও বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১৮ ডিসেম্বর উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের চিলমারী বিওপির ওপারে ভারতের চরভদ্রা সীমান্তে বিএসএফের গুলি ছোড়ার কারণ ও ঘটনার সঠিক ব্যাখ্যা জানতে এই সাক্ষাতের আয়োজন করা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলা এই বৈঠকে সীমান্তের নানা বিষয় নিয়েও কথা বলেন দুই দেশের ব্যাটালিয়ন পর্যায়ের কমান্ডাররা। কুষ্টিয়া বিজিবির ৪৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহাবুব মুর্শেদ রহমানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
সৌজন্য সাক্ষাতে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন কুষ্টিয়া ৪৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব মুর্শেদ রহমান এবং বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দিয়েছেন ভারতের রওশনবাগ ১৪৬ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট বিক্রম দেব সিং।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সীমান্তে গুলির বিষয়ে ১৪৬ ব্যাটালিয়ন বিএসএফের কমান্ড্যান্ট জানিয়েছেন,কাউকে উদ্দেশ্য করে নয়, শুধু চোরাকারবারিদের ভয়ভীতি দেখানোর জন্য ফাঁকা গুলি করা হয়েছে।
এ সময় বাংলাদেশি জনসাধারণের ওপর কোনো অবস্থাতেই প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার বা গুলি না করার বিষয়ে বিএসএফ কমান্ড্যান্টকে অনুরোধ জানালে বিএসএফ কমান্ড্যান্ট এ বিষয়ে একমত পোষণ করেন। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে উভয় দেশে বিদ্যমান চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে যৌথ পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন।
সাক্ষাতে চিলমারী সীমান্তের বিপরীতে ভারতের ২০০ গজ অভ্যন্তরে পরিখা খননের কারণ জানতে চাইলে বিএসএফের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অবৈধভাবে গরু-মহিষের চোরাচালান রোধের কারণে এই পরিখা খনন করা হয়েছে।
পরে সীমান্তে অতিরিক্ত বিএসএফ মোতায়েনের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসএফের পক্ষ থেকে বলা হয়, অবৈধ চোরাচালান রোধে জনবল বাড়ানো হয়েছে।
এ সময় দুই দেশের সীমান্ত রক্ষায় সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন দুই দেশর সীমান্তরক্ষী বাহিনী।