যশোর প্রতিনিধি
রিকশাচালক হাফিজুর রহমান বলেছেন, ‘বেলাডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শহরডা ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। কী যে গরম। গরমে মানুষ বের হতে পারতেস না। প্যাটের জ্বালায় বারোইছি, কিন্তুক প্যাছিন্দার পাচ্ছিনে।’
যশোরে কয়েক দিন ধরে চলা তীব্র তাপপ্রবাহে নাকাল হয়ে পড়েছে জনজীবন। দিনের বেলায় লোকজনের উপস্থিতি কমে গেছে। যাত্রী না পেয়ে শহরের বকুলতলায় বসেছিলেন রিকশাচালক হাফিজুর রহমান। সেখানেই এই প্রতিবেদককে কথাগুলো বলেন তিনি।
এ সময় রিকশাচালক হাফিজুর রহমান বলেন, ‘সকালে একটু গরম কম। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কী যে গরম পড়ছে, যেন আগুনের মতন তাপ। এদিক-ওদিক ছুটেও পরানডা ঠান্ডা করতে পারতিছি না। তাই এই বকুলতলাতে বসেছি, শরীরটা ঠান্ডা করার জন্যি।’
শহরের সিভিল কোর্ট মোড়ে ইজিবাইক রেখে যাত্রীর অপেক্ষায় বসে ছিলেন চালক রফিকুল মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘সেই সকালে গাড়ি নিয়ে বের হয়ছি। কিন্তু আমাগের যশোরে যে গরম পড়তেছে, গরমের জন্যি জানডা বের হয়ে যাচ্ছে। রিকশা না নিয়ে বের হলি, বউ ছেলেপেলে যে না খেয়ে থাকবেনে।’
এদিকে আজ মঙ্গলবার ১৫ বছর পর যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। বেলা ৩টার দিকে বিমানবাহিনীর আবহাওয়া দপ্তর এ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে। খুলনা আবহাওয়া অধিদপ্তর এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এর আগে, ২০০৯ সালে যশোরে ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করে।
প্রায় তিন সপ্তাহ ধরেই খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে এ বিভাগের যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। প্রতিদিনই বাড়ছে তাপমাত্রা।