
যশোরের চৌগাছায় ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে তিনজনের আত্মহত্যার চেষ্টায় দুজন মারা গেছেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের চন্টু মিয়া (৪৫) ও পাশাপোল ইউনিয়নের পাশাপোল মাঝেরপাড়ার কামাল হোসেন (৩৫)। এ ছাড়া চৌগাছা সদর ইউনিয়নের বেড়গোবিন্দপুর গ্রামের রহমত আলী (৭০) যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
হাসপাতাল ও থানা সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জেরে গতকাল সন্ধ্যায় সবার অগোচরে নিজের ঘরে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন চন্টু মিয়া। বিষয়টি তাঁর স্ত্রী বুঝতে পেরে চিৎকার করলে পরিবারের লোকজন স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাঁকে উদ্ধার করে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তের পর বিকেলে মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
অপরদিকে, কামাল হোসেন আজ সকালে পাশাপোল বাজারের রাজার চায়ের দোকানের পেছনে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। স্থানীয় লোকজন দেখতে পেয়ে তাঁর পরিবারকে খবর দিলে তাঁকে উদ্ধার করে সকাল ১০টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকেও যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে নেওয়ার পরপরই তাঁর মৃত্যু হয়।
মোবাইল ফোনে মৃত ব্যক্তির ভাতিজি লিমা খাতুন বলেন, ‘তিনি মানসিক রোগী ছিলেন। রোগ বেড়ে গেলে তিনি কখন কী করতেন, তার কোনো ঠিক ছিল না। এ জন্য পাবনায় মানসিক হাসপাতালে রাখা হয়। তিন মাস সেখানে রাখার পর সম্প্রতি তাঁকে বাড়িতে আনা হয়েছে। কিছুদিন ধরে তিনি ভালোই ছিলেন। হঠাৎ আজ সকালে খবর পাই, পাশাপোল বাজারের পাশে তিনি পড়ে আছেন। স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার করে তাঁকে চৌগাছা হাসপাতালে নেওয়া হয়।’
অন্যদিকে, রহমত আলীর ছেলে রুহুল আমীন মুঠোফোনে জানান, ‘আজ সকালে বাড়ির পাশেই কীটনাশক পান করেন তিনি। বুঝতে পেরে তাঁকে উদ্ধার করে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন।
চৌগাছা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম সবুজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।