চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল ইসলামকে (৩৬) রাজনৈতিক বিরোধের জেরে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। আজ বুধবার বিকেল ৪টায় সদর উপজেলার ভালাইপুর মোড়ে জহুরুলের ওপর তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেই হামলা চালায় জেলা যুবদলের জয়েন্ট সেক্রেটারি আব্দুস সালাম বিপ্লবের নেতৃত্বাধীন একটি গ্রুপ।
এ ছাড়া ঘটনার সময় জখম হন স্থানীয় ট্রাক্টর চালক সাব্বির হোসেন। হামলার পরপরই ঘটনাস্থল ত্যাগ করে হামলাকারী। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। জখম গুরুতর হওয়ায় তাৎক্ষণিক চিকিৎসা শেষেই জহুরুলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। জহুরুল ইসলাম ইউনিয়নের ঝোড়াঘাটা গ্রামের এলাহী বক্সের ছেলে।
জহরুলের ছেলে জারিফ হাসান অভিযোগ করেন, কয়েক দিন ধরেই রাজনৈতিক একটি বিরোধ চলছিল সিজার ও বিপ্লব গ্রুপের লোকজনের সঙ্গে। এই বিরোধের জেরেই বিপ্লবের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন বাবার দোকানে এসে তার ওপর হামলা চালায়। তার মাথা ও পায়ে দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বলেন, ‘জহুরুলের মাথায় ও পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তার পায়ের হার ভাঙাসহ শিরা-উপশিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনে সার্জারি কনসালট্যান্ট তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সন্ধ্যায় পরিবারের সদস্যা তাকে নিয়ে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে সদর হাসপাতাল ত্যাগ করে।’
জেলা যুবদলের জয়েন্ট সেক্রেটারি আব্দুস সালাম বিপ্লবের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। সে জন্য তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘জহুরুল ইসলাম ও বিপ্লব গ্রুপের মধ্যে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার ও পূর্ব বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে এ হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। খবর পেয়ে থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান নেয়। হামলাকারীদের আটকের অভিযান চালানো হচ্ছে।