ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সহসভাপতি শামীম হোসেনকে (৩৫) গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শামীমের বাড়ির সামনে খালের পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাড়ির সামনে খালের ধারে বসে ছিলেন শামীম। সে সময় হঠাৎ দুর্বৃত্তরা এসে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক শামীমকে মৃত ঘোষণা করেন।
শামীমের ছেলে মাহিন বলেন, ‘আমি রাতে খেলছিলাম। সে সময় মামুন অর-রশিদ স্যার (যার কাছে মাহিন প্রাইভেট পড়ে) আমাকে ফোন করে বাবার কথা জিজ্ঞাসা করেন। তিনি জানতে চান, আমার বাবা বাসায় আছেন কি না। বাবা বাসায় নেই জানালে তিনি আমাকে দ্রুত বাসায় যেতে বলেন। পরে আমি বাসায় গিয়ে বাবাকে না পেয়ে মাকে জিজ্ঞাসা করি, মা আমাকে ডেকেছেন কি না।’
মাহিন আরও বলেন, ‘মা আমাকে জানান তিনি আমাকে ডাকেননি। তখন বাসা থেকে বাইরে বের হয়ে এলে কিছুু লোক আমাকে ডাকেন। তাঁরাও আমার বাবা কোথায় জানতে চাইলে আমি তাঁদের বলি, বাবা বাজারে গেছেন। তারা আবারও বলেন, ভালো করে বলো। তখন তাঁরা বাড়ির সামনে রক্তাক্ত অবস্থায় আমার বাবাকে দেখিয়ে বলে, দেখো তো এটা তোমার বাবা কি না? তার পরই দেখি, আমার বাবাকে কেউ মেরে ফেলে রেখে গেছে।’
হরিণাকুণ্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার জামিনুর রশিদ শামীমকে মারধর ও তাঁর গুলিবিদ্ধ হওয়ার কথা নিশ্চিত করে জানান, ‘হাসপাতালে আসার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। রোগীর সিম্পটম দেখে বোঝা যাচ্ছে, গুলি ও আঘাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।’
হরিণাকুণ্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান শামীমকে মারধর ও তাঁর গুলিবিদ্ধ হওয়ার কথা নিশ্চিত করে বলেন, ‘হত্যার কারণ জানতে কাজ করছে পুলিশ।’