জাতীয় দলের নারী ফুটবলার রাজিয়া সুলতানার মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে পুরো পরিবার। বাবার মৃত্যুতে পরিবারের হাল ধরা রাজিয়ার অভাব তীব্রভাবে অনুভব করছেন পরিবারের সবাই। এ ছাড়া সদ্যোজাত সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়েও উদ্বিগ্ন তাঁরা। এ অবস্থায় শিশুসন্তান ও পরিবারের ভবিষ্যৎ নির্মাণে সরকারের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন তাঁরা।
রাজিয়ার ভাই ফজলুর রহমান বলেন, ‘টিনের চাল ও বেড়ায় নির্মিত খুপরিতে থাকত রাজিয়া। পাশেই ছোটখাটো একটা ইটের ঘর নির্মাণ শুরু করেছিল সে।’ ঘরটি নির্মাণে সরকারি সহযোগিতার দাবি জানান তিনি।
রাজিয়ার স্বামী ইয়াম রহমান বলেন, ‘রাজিয়া যেমন সাতক্ষীরার গর্ব ছিল, তার সন্তানকেও আমি এমনভাবে গড়ে তুলব, যাতে সে রাজিয়াকেও ছাড়িয়ে যায়।’
এর আগে গত বুধবার রাত ১০টার দিকে লক্ষ্মীনাথপুর গ্রামে বাবার বাড়িতে ছেলেসন্তানের জন্ম দেন রাজিয়া। ফিটনেস ধরে রাখতে অস্ত্রোপচার করাতে রাজি ছিলেন না তিনি। স্বাভাবিকভাবে ছেলেসন্তান জন্ম দেওয়ার পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও পরে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে ভোররাত ৪টার দিকে মারা যান রাজিয়া।