জীবনাচরণ জানতে দুটি কুমিরের পিঠে বসানো হয়েছে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার। গতকাল বুধবার রাতে এ দুই কুমিরকে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের ভদ্রা নদীতে বন বিভাগের পক্ষ থেকে অবমুক্ত করা হয়।
অবমুক্তের সময় উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ নুরুল করিম, সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু নাসের মহাসিন হোসেন এবং বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা নির্মল কুমার পাল।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) কান্ট্রি ডিরেক্টর মো. সরোয়ার আলম দীপু, শ্রীলঙ্কার কুমির বিশেষজ্ঞ রু সোমাউইরা, মৎস্য বিশেষজ্ঞ মো. মফিজুর রহমান, করমজল বন্যপ্রাণী প্রজননকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবীর প্রমুখ।
দুটি কুমিরের মধ্যে সুন্দরবনের করমজলের কুমির প্রজনন কেন্দ্র থেকে জুলিয়েট নামের একটি এবং অন্যটি হলো যশোরের মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ির এলাকা থেকে উদ্ধার করা কুমির মধু।
কুমির দুটির পিঠে বসানো স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে কুমিরের জীবনাচরণের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানা যাবে। জীবনাচারণ জানার ফলে কুমিরের খাবার ও বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আরও বেশি জানা যাবে বলে জানান করমজল বন্যপ্রাণী প্রজননকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির।