চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নিমতলা গ্রাম। গ্রামটি বেশ অবহেলিত। এই গ্রামের মানুষের দীর্ঘদিনের দুঃখ মাত্র দুই কিলোমিটার কাঁচা সড়ক। গ্রামের দুই কিলোমিটার সড়ক কাচা থাকায় বর্ষা মৌসুমে এলাকাবাসীকে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরে গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজে আসতে হলে ডিঙ্গেদহ বাজার অথবা মোমিনপুর ইউনিয়নের নীলমণিগঞ্জ বাজার হয়ে প্রায় ১৫ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিতে হয়। নিমতলাসহ এই এলাকার একাধিক গ্রামের মানুষের যোগাযোগের একমাত্র এই সড়কটি কাঁচা থাকায় যুগ যুগ ধরে অভাবনীয় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এই দুই কিলোমিটার রাস্তা যদি পাকা করা হয় তাহলে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দুঃখ যেমন লাঘব হবে, ঠিক তেমনি হাসি ফুটবে তাঁদের মুখে।
ওই গ্রামের বাসিন্দা শাহাদত বলেন, 'কৃষি নির্ভর নিমতলা গ্রাম থেকে চুয়াডাঙ্গা শহরের সঙ্গে যোগাযোগের পাঁচ কিলোমিটারের একমাত্র এই সড়কটির দুই কিলোমিটার সড়ক কাঁচা। এ জন্য বর্ষা মৌসুমে চুয়াডাঙ্গা শহরে যেতে প্রায় ১৫ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরতে হয়। সড়কটি দ্রুত পাকাকরণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু দৃষ্টি কামনা করছি।'
একই এলাকার আব্দুল লতিফ, আনছার আলী ও গোলাম মোস্তফাসহ সাধারণ গ্রামবাসীরা জানান, এই সড়কটির দুই কিলোমিটার কাঁচা থাকায় বর্ষা মৌসুমে আমাদের বেশ বিপাকে পড়তে হয়। কয়েক যুগ ধরে রাস্তাটি কাঁচা থাকলেও কোনো জনপ্রতিনিধি রাস্তা পাকাকরণে উদ্যোগ নেননি। কিন্তু ভোটের আগে তাঁদের কত বুলি। তাঁরা আরও জানান, জরুরি প্রয়োজনে মুমূর্ষু রোগীকে হাসপাতালে নেওয়া, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতসহ এই এলাকার উৎপাদিত ফসল হাট-বাজারে পরিবহন করাও দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে। গ্রামবাসীরা আরও জানান, বর্ষা মৌসুম ছাড়াও শুষ্ক মৌসুমেও ধুলাবালিতে চলাচল করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।
এলাকাবাসির দাবি, বিগত দিনে এবং বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার প্রথম ক্ষমতায় আসার পর থেকে এলাকার জনপ্রতিনিধিদের কাছে বারবার আবেদন করেও সড়কটি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তবে সম্প্রতি চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপির কাছে এলাকাবাসী সড়কটি পাকাকরণের দাবি নিয়ে দেখা করলে তিনি সড়কটি পাকাকরণের আশ্বাস দিয়েছেন।