ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের মৃত্যুতে শোকাহত নেতা-কর্মী ও তাঁর স্বজন এবং শুভাকাঙ্ক্ষীরা। আজ বৃহস্পতিবার কালীগঞ্জ শহরে তাঁর বাড়ির সামনে ভিড় করছেন নেতা-কর্মীরা। তাঁরা জানার চেষ্টা করছেন কবে নাগাদ এমপির মৃতদেহ পাওয়া যাবে, কবেই বা হত্যার প্রকৃত অপরাধীরা আইনের আওতায় আসবে। এমনই নানা প্রশ্ন নিয়ে একে অপরের সঙ্গে আলোচনা করছেন। তবে গতকালের তুলনায় আজ নেতা-কর্মী ও অন্যদের উপস্থিতি ছিল তুলনামূলক কম।
এদিকে সকালে এমপির মৃত্যুর খবরে তাঁর বাড়ির সামনে এসে সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে কান্না করছিলেন খামারাইল গ্রামের গৃহিণী ফরিদা বেগম। সে সময় তিনি বলছিলেন, ‘আমার ছেলে যখন পেটে ছিল, তখন টাকার অভাবে সিজার করতে পারছিলাম না। খুবই অসুস্থ ছিলাম। তখন খবর পেয়ে এমপি নিজে টাকা দিয়ে আমার চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। পরে ঘর করার জন্য টাকাও দিয়েছেন। আমাদের এমন ভালো এমপিকে কেন মারা হলো, এর বিচার চাই।’
তিনি বলেন, ‘এমপি এত ভালো মানুষ ছিলেন যে মানুষের সঙ্গে কখনো উচ্চ স্বরে কথা বলতেন না। তাঁর ভালো ব্যবহার কেউ ভুলতে পারবে না।’
এদিকে ৫ কোটি টাকার বিনিময়ে এমপি আনারকে হত্যার পরিকল্পনাকারী ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের বাসিন্দা ও আমেরিকার নাগরিক আক্তারুজ্জামান শাহীন এবং এই হত্যার পেছনে কারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন রাজনৈতিক সহকর্মীরা।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনিছুর রহমান মিঠু মালিথা বলেন, ‘আমরা এমপি হত্যার বিচার চাই। শুধু শাহীনের দ্বারা হয়তো এমনটি হয়নি। এর পেছনে আরও অনেকেই জড়িত আছে, তাদের খুঁজে বের করুক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।’
উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি তরিকুল ইসলাম তুহিন বলেন, ‘এমপির লাশ টুকরো টুকরো করে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রেখেছে। দেখলাম, জানলাম ছয়জন ধরা পড়েছে। এদের আড়ালে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছে, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। যে যাওয়ার সে চলে গেছে, কিন্তু আমাদের প্রিয় নেতা আনারের লাশটা শেষবারের মতো দেখতে চাই।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেন, ‘বিভিন্ন মিডিয়ায় দেখলাম হত্যার সঙ্গে জড়িত কয়েকজন গ্রেপ্তার। এখনো কেন মূল পরিকল্পনাকারী শাহীন গ্রেপ্তার হচ্ছে না? তাকে যেন দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক।