বাগেরহাটের শরণখোলায় দ্বিতীয় বিয়ের চার দিন পর খুন হয়েছেন মোহাম্মাদ আলী খাঁন নামে (৭৫) বছরের এক বৃদ্ধ। গতকাল শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের পশ্চিম খোন্তাকাটা গ্রামের নিজ বাড়ির সামনে নৃশংসভাবে খুন হন তিনি। নিহত মোহাম্মদ আলী খাঁন ওই গ্রামের মৃত হাসেম আলী খাঁনের ছেলে।
খোন্তাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন, ইউপি সদস্য আসাদুজ্জামান মিলন ও নিহত মোহাম্মাদ আলী খাঁনের ভাইয়ের ছেলে ইসমাইল হোসেন খাঁন, ইউনুস খাঁন জানান, মোহাম্মাদ আলী খাঁন একজন ভালো মানুষ। তার সঙ্গে এলাকার কারও সঙ্গে কোনো শত্রুতা ছিল না। তার ৪ ছেলে ও দুই মেয়ে। এদের মধ্যে বড় ছেলে মশিউর রহমান খাঁনের সঙ্গেই মেহাম্মাদ আলী খাঁন থাকতেন। স্ত্রী অক্ষম বলে গত মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় মোহম্মাদ আলী খাঁন দ্বিতীয় বিবাহ করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এরপর থেকেই তাঁর মেজো ছেলে রফিকুল ইসলাম খাঁন মোহাম্মাদ আলীর সঙ্গে ঝগড়া শুরু করেন এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন।
ইসমাইল খাঁন বলেন, ওই দিন শুক্রবার রাত ৯টার দিকে চাচা মোহাম্মাদ খাঁন বাড়ির পাশে ভাড়ানির পাড় বাজারে আকাশে রিচার্জ করতে আসলে তাঁর সঙ্গে কথা হয়। এরপর রাত সাড়ে ৯টার সময় শুনতে পাই তাঁকে বাড়ির সামনে কে বা কারা কুপিয়ে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে। তবে, ঘটনার পর থেকেই মোহাম্মাদ খাঁনের মেজো ছেলে রফিকুল ও মোস্তাফিজ খানকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ এলাকাবাসী ধারণা করছেন, বাবা বিয়ে করে স্ত্রীকে ৫ কাঠা পরিমাণ জমি লিখে দেওয়ায় এমন হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে পালিয়েছেন রফিকুল ও মোস্তাফিজ।
নির্মম এ হত্যার ঘটনায় রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম আশিকুর রহমান ও শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান খাঁন।
ওসি মো. কামরুজ্জামান জানান, দ্বিতীয় বিয়ের চার দিন পর মোহাম্মাদ আলী খাঁন (৭৫) নামে বৃদ্ধকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে নিহতের দুই ছেলে পলাতক রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তার দুই ছেলেই তাকে হত্যা করেছে। ঘাতকদের আটকের চেষ্টা চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছ।