কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) দুই দিনব্যাপী শীতকালীন পিঠা উৎসব শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন ফার্মাসি বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক অর্ঘ্য প্রসূন সরকার।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বটতলায় গ্রামীণ পরিবেশে পিঠা খাওয়ার অনুভূতি জাগাতে ফার্মাসি বিভাগের শিক্ষার্থীদের এই আয়োজন। উৎসবে প্রায় ৩০ ধরনের পিঠা সরবরাহ করা হয়। এসব পিঠা শিক্ষার্থীরা নিজেরাই তৈরি করেছেন।
সকাল থেকে পিঠা উৎসব উপলক্ষে বটতলা প্রাঙ্গণে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে। কেউ সেলফি তুলছেন, আবার কেউ দেখতে এসেছেন। অনেকে ভিন্ন ভিন্ন পিঠার স্বাদ গ্রহণ করছেন। কেউ আগ্রহ নিয়ে দেখছেন হরেক রকমের বাহারি পিঠা। নানা ধরনের পিঠার মধ্যে ছিল সুইচ রোল পুলি, সুজির মালাই চাপ, ম্যারা পিঠা, নারকেলপুলি, দুধ চিতই, ভাপা পিঠা, ফুলঝুরি পিঠা, সেমাই পিঠা, কেক, গোলাপ পিঠা, ডালের পিঠা, পুডিং, দুধমালাই রিং, দুধ সন্দেশ, নারকেল চমচম, তেলের পিঠা, নারকেল পাকন, পাটিসাপটা।
পিঠা উৎসবের আয়োজক ফার্মাসি বিভাগের শিক্ষার্থী মেহজাবিন স্নিগ্ধা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শীত যায় যায় অবস্থায় ক্যাম্পাসে একটা উৎসবের আয়োজন নিয়ে এসেছি আমরা। ফার্মাসি বিভাগের চার ব্যাচ মিলে এই স্টল দাঁড় করানো হয়েছে। আমরা প্রতিটি পিঠার একটা নাম দিয়েছি।’
আল-ফিকাহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী নয়ন আহমেদ বলেন, ‘ক্যাম্পাসে পিঠা উৎসব দেখে অনেক ভালো লাগছে। কয়েকটি পিঠা খেলাম। এখানে এসে গ্রামের পিঠা খাওয়ার স্মৃতি ফিরে পেলাম।’