ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দলের নীতি–আদর্শপরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় উপজেলার বারবাজার ইউনিয়ন বিএনপির দুই কর্মীকে প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক মাহাবুবার রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বহিষ্কার আদেশ দেওয়া হয়।
বহিষ্কৃত দুই কর্মী হলেন বারবাজার মহিষাহাটি গ্রামের আসাদুল ইসলাম ও বেলাট দৌলতপুর গ্রামের সাবু বিশ্বাস। তবে কী কারণে তাঁদের বহিষ্কার করা হয়েছে, তা উল্লেখ করা হয়নি ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও থানা-পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বারবাজার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালামের ছেলে সজীব হোসেন, তাঁর বউ ও শাশুড়িকে সঙ্গে নিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে বারবাজার থেকে যশোর যাচ্ছিলেন। পথে মান্দারতলায় পৌঁছালে ওই দুই বিএনপি কর্মী আসাদুল ইসলাম ও সাবু বিশ্বাস তাঁর লোকজন নিয়ে তাঁদের অপহরণ করে বলে অভিযোগ ওঠে। পরে তাঁদের অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি করে মারধর করেন। অপহরণকারীরা সন্ধ্যায় তাঁদের মান্দারতলায় ছেড়ে দিয়ে যান বলেও জানান। আহত সজীব হোসেন বর্তমানে যশোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু আজিফ বলেন, ‘সংবাদ পাওয়ার পর আমরা তাঁদের উদ্ধারের কাজ শুরু করি। সন্ধ্যার পর অপহরণকারীরা ঝিনাইদহ ও যশোরের সীমান্ত এলাকা মান্দারতলায় ফেলে রেখে যায়। সেখান থেকে তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।’
এ বিষয়ে জানতে জেলা বিএনপি সভাপতি এম এ মজিদের মোবাইলে ফোনে কল দিলে পাওয়া যায়নি।