রোববার আলমডাঙ্গার ১৩ ইউনিয়নে শুরু হচ্ছে ভোটযুদ্ধ। আগামী রোববার সকাল থেকে শুরু হবে এই ভোটগ্রহণ।
জানা যায়, আলমডাঙ্গার ১৩টি ইউনিয়নে মোট ভোটার ২ লাখ ২৫ হাজার ৪১৯ জন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ১৩ হাজার ২৪৩ জন এবং নারী ১ লাখ ১২ হাজার ১৭৬ জন। মোট ভোটকেন্দ্র ১২৭টি।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এত টান টান উত্তেজনা ও উৎকণ্ঠা এর আগে কোনো নির্বাচনে দেখা যায়নি। এরই ঢেউ ইউনিয়ন ছাড়িয়ে উপজেলা-জেলায়ও পড়েছে। কিন্তু শঙ্কায় রয়েছেন সাধারণ ভোটাররা।
বেলগাছি গ্রামের ভোটার মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলী শাহ বলেন, বিদ্রোহীরা প্রায় সবাই প্রচণ্ড প্রভাবশালী। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। ফলে বাড়ছে ক্ষমতার লড়াই আর বাড়তি উত্তেজনা।
এ বিষয়ে উপজেলার প্রবীণ রাজনীতিবিদ কাজী রবিউল হক বলেন, নির্বাচন এখন ছন্দ হারিয়ে দ্বন্দ্বে রূপ নিয়েছে। যেকোনো কেন্দ্র মুহূর্তে রণক্ষেত্রে রূপান্তর হতে পারে। বিশেষ করে বেলগাছি, কুমারী, কালিদাসপুর ও হারদী কেন্দ্রগুলো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কেউ সহিংসতা সৃষ্টি করলে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে।
প্রস্তুতির বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এমএজি মুস্তফা ফেরদৌস বলেন, `আমাদের প্রস্তুতি শেষ। আশা করছি সবার সহযোগিতায় অবাধ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে একটি স্বচ্ছ ও সুন্দর ভোট অনুষ্ঠিত হবে।'