জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি
ভোট কেন্দ্রের বাইরে নিয়ন্ত্রণ ও কেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়াসহ নানা অভিযোগের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে চুয়াডাঙ্গার ৮ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা।
স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কর্মীরা গ্রামের ভেতরের রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিএনপি-জামায়াতে ইসলামি ও বিদ্রোহী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীদের কেন্দ্রে না যেতে হুমকি দিচ্ছিল। আর কেন্দ্রে গেলে নৌকায় ভোট দিতে বলা হয়েছে। কয়েক জায়গায় বের করে দেওয়া হয় বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীদের।
বাঁকা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হাফিজুর রহমান অভিযোগ করেন, সুটিয়ায় তার এজেন্টদের বের করা দেওয়া হয়েছিল। প্রশাসন আসলে আওয়ামী লীগের লোকজন চলে যাচ্ছিল। তবে প্রশাসনের লোকজন চলে গেলে তারা আবার কেন্দ্রে এসে ঝামেলা শুরু করে। তারা নৌকায় ভোট দেওয়ার জন্য সবাইকে জোর করছিল। আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য দলের লোকজনের কেন্দ্রে ঢুকতে দিচ্ছিল না।
পর্যবেক্ষণে এসে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব বলেন, সার্বিকভাবে ভোট সুষ্ঠু হচ্ছে। কোথায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। বেলা দেড়টা পর্যন্ত ৩০ শতাংশ ভোট পড়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা মেজর আহমেদ ও কামরুল হাসান বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ হয়েছে। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। তবে সার্বিকভাবে ভোট সুষ্ঠু হয়েছে।