সাতক্ষীরার আশাশুনিতে অনিমেষ সরকার (২৫) নামের এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত শনিবার (২৫ জানুয়ারি) লাঙলদাড়িয়া গ্রামের এক গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর লাশটি পাওয়া যায়। এ ঘটনায় হত্যা মামলায় বিএনপির এক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া এক সাক্ষীর জবানবন্দিতে হত্যার ঘটনায় প্রাথমিকভাবে সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তাঁকে আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ সোমবার সকালে শ্রীউলা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক মালেক মল্লিককে আদালতে আনার পর বিচারক মো. সালাহউদ্দিনের কাছে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। পরে বিচারক ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে সাক্ষী বাবুল আক্তার মোল্লার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাঁকে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
নিহত অনিমেষ সরকার পেশায় সাইকেল মিস্ত্রি। উপজেলার লাঙলদাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা তিনি।
গ্রেপ্তার আব্দুল মালেক মল্লিক (৫৫) আশাশুনি উপজেলার লাঙ্গলদাড়িয়া গ্রামের ওমর ছিদ্দিক মল্লিকের ছেলে ও বাবুল আক্তার মোল্লা (৩৯) একই গ্রামের আব্দুল খালেক মোল্লার ছেলে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশাশুনি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাহিদ হোসেন জানান, শ্রীউলা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল মালেক মোল্লাকে অনিমেষ সরকার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছিল। আদালত এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। তাঁকে আজ সোমবার বিকেলে আদালত থেকে আশাশুনি থানায় আনা হয়েছে।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নোমান হোসেন বলেন, ‘মামলায় ১ নম্বর সাক্ষী হিসেবে বাবুল আক্তার মোল্লার নাম থাকলেও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে সে হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে প্রতীয়মান হয়। ফলে সোমবার বিকেলে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি শেষে বাবুল আক্তারকে আদালত থেকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’
স্থানীয় ও মামলার এজাহার সূত্র জানায়, ২১ জানুয়ারি জমির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে অনিমেষ সরকারকে মারধর করেন প্রতিবেশী অহিদ মল্লিক ও তাঁর ভাই মালেক মল্লিক। ২৪ জানুয়ারি সালিসে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে অনিমেষকে হুমকি দেওয়া হয়। সেদিন রাতেই দোকান থেকে বাড়ি ফেরার সময় তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার করা হয়। পরদিন সকালে তাঁর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের মা শেফালী রানী সরকার বাদী হয়ে মালেক মল্লিক ও অহিদ মল্লিকসহ অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন।