যশোরের ঝিকরগাছায় তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদকসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার বিকেলে উপজেলার একটি গ্রামের লিচুবাগানে এ ঘটনা ঘটে।
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে ঝিকরগাছা থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ধর্ষণের শিকার তরুণীকে উদ্ধার করে। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে মোবাইল ফোন নম্বর ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে সন্ধ্যায় অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার একটি ইউনিয়নের ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন বাপ্পী, দপ্তর সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাত, জাবেদ হোসেন ও আমিনুর রহমান। এ ঘটনায় ওই তরুণী থানায় মামলা করবেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
জানা গেছে, জেলার মনিরামপুর উপজেলার এক তরুণী (১৯) বেনাপোলে খালার বাড়ি থেকে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে চার যুবকের সঙ্গে তাঁর পরিচয়। এ সময় তাঁরা ওই তরুণীকে ফুলবাগান দেখাতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে একটি লিচুবাগানে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তরুণীকে উদ্ধার করে। এরপর সন্ধ্যায় অভিযুক্ত চার যুবককে আটক করা হয়।
খবর পেয়ে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুর-ই-আলম সিদ্দিকী নিশাত আল নাহিয়ান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আশরাফুল আলম রানা বলেন, ‘কোনো ব্যক্তির দায় সংগঠন নেবে না। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলে কোনো অপরাধীর ঠাঁই নেই। অভিযুক্ত দুজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’
ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলুর রহমান খান বলেন, ‘ওই তরুণীকে ভুল বুঝিয়ে পটুয়াপাড়া গ্রামে আসামি জাবেদ হোসেনের লিচুবাগানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁরা তরুণীকে ধর্ষণ করেন। মেয়েটি ফোনে ঝিকরগাছা থানা-পুলিশকে ঘটনা জানায়। খবর পেয়ে তাঁকে উদ্ধার করেছি। এ ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।