যশোর ও মনিরামপুর প্রতিনিধি
ট্রাফিক আইন এড়াতে যশোরের মনিরামপুরে মোটরসাইকেলের পেছনে নম্বরপ্লেটে পৌরসভার প্রত্যয়নপত্র সাঁটিয়েছেন আবদুল ওহাব নামে এক ব্যক্তি। মনিরামপুর পৌরসভার মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসানের স্বাক্ষর রয়েছে সে প্রত্যয়নপত্রে। স্বাক্ষরে তারিখের সংখ্যাটি অস্পষ্ট হলেও চলতি মাসে যে প্রত্যয়নটি দেওয়া হয়েছে তা স্পষ্ট।
আজ বুধবার দুপুর থেকে মোটরসাইকেলে সাঁটা প্রত্যয়নপত্রটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে হাসিঠাট্টা চলছে রীতিমতো। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসান প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যয়ন পত্রে লেখা আছে, ‘এই মর্মে প্রত্যয়ন পত্র প্রদান করা যাচ্ছে যে, আবদুল ওহাব, পিতা-আছর আলী মোল্লা, গ্রাম দুর্গাপুর, ৪ নম্বর ওয়ার্ড, মনিরামপুর পৌরসভা, যশোরের স্থায়ী বাসিন্দা। আমি তাকে চিনি ও জানি। আমার জানামতে তিনি একজন তালিকাভুক্ত কৃষক। সে বাড়ি হতে মাঠে যাতায়াতের জন্য জরাজীর্ণ একটি মোটরসাইকেল ব্যবহার করে। কৃষিকাজের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট সকলকে বিশেষভাবে বিবেচনার জন্য অনুরোধ করা গেল। আমি তার সার্বিক মঙ্গল কামনা করি।’
প্রত্যয়ন পত্রে জরাজীর্ণ মোটরসাইকেলের কথা উল্লেখ থাকলেও ভাইরাল হওয়া ছবিতে একটি নতুন মোটরসাইকেলের নম্বর প্লেটে প্রত্যয়নটি সাঁটানো দেখা গেছে। তবে ভাইরাল হওয়া মোটরসাইকেলের মালিক আবদুল ওয়াবের সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
প্রত্যয়ন দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে পৌর মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আবদুল ওহাব একটা প্রত্যয়ন এনে বলল, আমার একটা পুরোনো মোটরসাইকেলে আমি বাড়ি থেকে মাঠে যাতায়াত করি। এ মর্মে একটা প্রত্যয়ন দিয়ে দেন। কর্মীরা এসে বললে আর সেটা না করা যায় না।’
পৌরসভা থেকে এমন প্রত্যয়ন দেওয়ার নিয়ম আছে কি না জানতে চাইলে মেয়র বলেন, ‘নিয়ম অনিয়ম বুঝি না। একজন পাবলিক এসে প্রত্যয়ন চেয়েছে। এ নিয়ে কেউ হাসিঠাট্টা করলে আর কি করা যাবে।’