প্রতিনিধি, বিয়ানীবাজার
শেরপুরের নকলায় নিখোঁজের দুই দিন পর মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় আসাদুজ্জামান আসাদ নামের এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। অটোরিকশা চালাতে বেরিয়ে গত সোমবার রাতে নিখোঁজ হয় আসাদ। গতকাল বুধবার সকালে নকলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের সেফাকুড়ি ব্রিজের কাছে মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় আসাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁরা হলেন দক্ষিণ নকলা গ্রামের হামিদুল ইসলাম ওরফে খোকন, গণপদ্দী ইউনিয়নের পূর্ব গজারিয়া গ্রামের নুর নবী, নকলা ইউনিয়নের ধনাকুশা গ্রামের জাহিদুল ইসলাম ও নকলা পৌরসভার মিলন মিয়া। তাঁরা সবাই চোর চক্রের সদস্য।
গতকাল শেরপুরের পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। নিহত আসাদ নকলা ইউনিয়নের দক্ষিণ নকলা শিববাড়ি গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে।
জানা গেছে, ১১ মার্চ দুপুরে আসাদ অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে নকলা ইউনিয়নের ধনাকুশা বাজারে অটো মেরামত করে বাজারের পাশে ভগ্নিপতির বাড়িতে রাতের খাবার খেয়ে অটোরিকশা নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। রাত ১০টার পর থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ হয়ে যায় এবং তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল কাদের মিয়া জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা সোমবার রাতে আসাদের অটোরিকশাটি ছিনিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে ভাড়া করে। পরে আসাদ সেই অটোরিকশা ছিনিয়ে নিতে বাধা দিলে তাকে হত্যা করে মাটিচাপা দেয় চোর চক্রটি। পরদিন মঙ্গলবার অটোরিকশাটি বিক্রির জন্য নালিতাবাড়ীর তিন আনি বাজার হয়ে যাওয়ার পথে সেটির চার্জ শেষ হয়ে যায়। বিষয়টি নালিতাবাড়ী থানা-পুলিশের নজরে এলে সন্দেহ হয় এবং অটোরিকশা চোর ভেবে খোকন, নবী, জাহিদ ও মিলনকে হাতেনাতে পুলিশ আটক করে।