জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনে বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্যদিয়ে ভোটগ্রহণ হয়। আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের চর আদ্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকা ও ট্রাক প্রতীকের সমর্থকেরা কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষে জড়ায়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি ছুড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন।
বিকেল ৩টার দিকে একই কেন্দ্রে ফের নৌকা ও ট্রাক প্রতীকের সমর্থকেরা সংঘর্ষে জড়ায়। ইট পাটকেল নিক্ষেপ আর লাঠিসোঁটার আঘাতে উভয়পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হন। এ সময় ভোট কেন্দ্রের পাশে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়িসহ দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে ট্রাক প্রতীকের সমর্থকেরা।
অপরদিকে সকাল ১১টার দিকে পৌরসভার বলারদিয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকা ও ট্রাক প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে নৌকা প্রতীকের দুই এজেন্ট আহত হন। গুরুতর অবস্থায় নৌকা প্রতীকের এজেন্ট মুমিনুলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়।
এ ছাড়া ডিগ্রিবন্ধ দারুস সুন্নাহ আলীম মাদ্রাসা কেন্দ্র থেকে ঈগল প্রতীকের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ কেন্দ্রে ঈগল প্রতীকের কোনো এজেন্টকে পাওয়া যায়নি।
বেলা ১১টার পর থেকে এ উপজেলার ৮৯টি ভোট কেন্দ্রের অধিকাংশ ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি তেমন লক্ষ্য করা যায়নি।
একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক ও নৌকা প্রতীকের সমর্থক ইমরুল কায়েস বলেন, ‘ট্রাক প্রতীকের সমর্থকেরা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠা ও বাড়িঘরে লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালিয়ে আমার পরিবারের লোকজনকে মারধর করে। হামলাকারীদের লাঠিসোঁটার আঘাতে দুটি মোটরসাইকেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
এ বিষয়ে বলারদিয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, ‘ট্রাক ও নৌকার প্রার্থীর এজেন্টদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি থেকে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত।’
সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘চর আদ্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভেতরে নৌকার প্রার্থী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান হেলাল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের অধ্যক্ষ আবদুর রশীদের সমর্থকেরা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পুলিশ ৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’