ব্রিটিশ শাসনামলের ঐতিহাসিক টংক আন্দোলন ও হাজং বিদ্রোহের নেতা কুমুদিনী হাজং (৯২) মারা গেছেন। আজ শনিবার দুপুরে নেত্রকোনার দুর্গাপুর সীমান্তে বহেরাতলীর নিজ বাড়িতে তিনি মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় হাজং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পল্টন হাজং।
তাঁর মৃত্যুতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ শোক জানিয়েছেন। আগামীকাল রোববার সকালে স্থানীয় শ্মশান ঘাটে তাঁর শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে। তিনি দুই ছেলে, দুই মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
সমাজসেবায় অবদানের জন্য ২০১৯ সালে কুমুদিনী হাজংকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ দেয় বাংলা একাডেমি। এ ছাড়া তিনি অনন্যা শীর্ষ দশ (২০০৩), ড. আহমদ শরীফ স্মারক (২০০৫), কমরেড মণি সিংহ স্মৃতি পদক (২০০৭), সিধু-কানহু-ফুলমণি পদক (২০১০), জলসিঁড়ি (২০১৪) ও হাজং জাতীয় পুরস্কার (২০১৮) এবং পথ পাঠাগার (২০২২) পেয়েছেন।
কুমুদিনী হাজংয়ের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন নেত্রকোনা-১ আসনের সংসদ সদস্য মোশতাক আহমেদ রুহী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং, সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা কমরেড ডা. দিবালোক সিংহ ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি বিরিশিরির পরিচালক গীতিকবি সুজন হাজংসহ অনেকে।