ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
সামান্য বৃষ্টিপাতে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মূল ফটকে জমে হাঁটুপানি। অনেক সময় চত্বরজুড়ে থাকা পানি দুর্গন্ধ ছড়ায়। এতে সেবা নিতে এসে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে রোগী ও স্বজনদের।
হাসপাতালে সেবাপ্রত্যাশীদের অভিযোগ, ৫০ শয্যাবিশিষ্ট এই হাসপাতালে বৃষ্টিপাতে জলজট পরিস্থিতি তৈরি হলেও তা সমাধানে কোনো উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের। জরুরি ভিত্তিতে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থার দাবি জানান সেবাপ্রত্যাশীরা।
সরেজমিনে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বৃষ্টি হওয়ায় হাসপাতাল চত্বরজুড়ে জলজটের সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও হাঁটুপানি। আবার কোথাও এর বেশি। হাসপাতালের প্রধান ফটক দেখে মনে হচ্ছে যেন জলাশয়।
পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করতে বিকল্প ফটক রাখা হলেও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রোগী ও স্বজনদের। এ ছাড়া চিকিৎসক ও সেবিকারাও চলাচলে সমস্যায় পড়ছেন। বৃষ্টির পানির সঙ্গে মলমূত্র মিশে পানি দূষিত হওয়ার কারণে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আকবর, নাছিমা আক্তার, মোরাদ ফকির ও রোকিয়া পারভীন বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই হাঁটুপানি জমে হাসপাতাল চত্বরে ও মূল ফটকে। পানি সরে যেতে দুই-তিন দিন সময় লাগে। পানি থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়। এতে হাসপাতালের সেবাপ্রার্থীরা চরম ভোগান্তির শিকার হন।
জলজটে মলমূত্র মিশে দূষিত হওয়ায় পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ বিস্তারের আশঙ্কা করছেন হাসপাতালে সেবা নিতে আসা আলম ও বেদেনা বেগম। তাঁরা পানি নিষ্কাশনের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত ড্রেনেজ-ব্যবস্থা নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
হাসপাতাল এলাকার ওষুধ ব্যবসায়ী মো. সাজু মিয়া ও মুক্তার হোসেন বলেন, সামান্য বৃষ্টিপাতে হাসপাতাল চত্বর ও মূল ফটকে জলাশয়ের সৃষ্টি হয়। এতে চলাচলে ভোগান্তিতে পড়তে হয় চিকিৎসাসেবা নিতে আসা মানুষকে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক এ এ এম আবু তাহের বলেন, পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণের আলোচনা চলছে। ড্রেন নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলে সমস্যার সমাধান হবে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাঈদ মোহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণের উদ্যোগ নিলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর একটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করতে পারব। প্রকল্প অনুমোদন হলে ড্রেন নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।