নেত্রকোনা প্রতিনিধি
নেত্রকোনার পূর্বধলায় মসজিদে ইমামতির দ্বন্দ্বে ভাতিজার ঘুষিতে চাচার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার আগিয়া ইউনিয়নের জটিয়াবর মধ্যপাড়া জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম হাসিম উদ্দিন (৬৫)। তিনি জটিয়াবর মধ্যপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
আর অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন শাহজাহান মিয়া (৩৮)। তিনি নিহত হাসিম উদ্দিনের চাচাতো ভাই মৃত আবদুল লতিফের ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, জটিয়াবর মধ্যপাড়া জামে মসজিদের নির্ধারিত ইমাম মাওলানা শামীম হোসেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে প্রায়ই মসজিদে নামাজ পড়াতেন গ্রামের হাসিম উদ্দিনের ছেলে হাফেজ মো. আজিজুল হক (৩৫)। আজ মঙ্গলবার ফজরের নাম পড়ানোর সময় ইমাম শামীম হোসেন অনুপস্থিতি ছিলেন।
এ সময় আজিজুল হক নামাজ পড়াতে আসলে তাঁর চাচাতো ভাই শাহজাহান মিয়া এতে আপত্তি তোলেন। আজিজুল ও শাহজাহানের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সম্প্রতি বিরোধ চলছিল। শাহজাহান আজিজুলের পেছনে নামাজ না পড়ে মসজিদের বারান্দায় একা নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষ হলে মসজিদ প্রাঙ্গণে আজিজুল ও শাহজাহানের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এ সময় আজিজুলের বাবা হাসিম উদ্দিন উভয়কে থামতে বললে ভাতিজা শাহজাহান তাঁর ওপর চড়াও হন। কথা-কাকাটির একপর্যায়ে শাহজাহান হাসিম উদ্দিনকে কিল-ঘুষি মারলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যান।
এদিকে মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। পরে খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর পূর্বধলা অস্থায়ী ক্যাম্পের ওয়ারেন্ট কর্মকর্তা মো. শহিদ উল্লাহ ভূঁইয়ার নেতৃত্বে একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। একই সঙ্গে পুলিশও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত শাহজাহান মিয়ার মোবাইলে ফোন করলে বন্ধ পাওয়া যায়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘটনার পর থেকে তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন।
পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রিয়াদ মাহমুদ বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।