জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থান কর্মসূচির (ইজিপিপি) আওতায় গৃহীত প্রকল্পের শ্রমিকদের বিকাশ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তাঁদের মজুরির টাকা পাঠানো শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
সোমবার সন্ধ্যা থেকে মজুরির টাকা পাঠানো শুরু করা হয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. নুরনবী মোস্তফা চৌধুরী।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে অতিদরিদ্রদের জন্য গৃহীত ইজিপিপি আওতায় উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ৬৬টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। গত ১১ নভেম্বর প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়। ৪০ দিন চলে এই প্রকল্পের কাজ। এতে মাথাপিছু চার শ টাকা মজুরির ভিত্তিতে ২ হাজার ৮১৪ জন নিবন্ধিত শ্রমিক কাজ করার সুযোগ পান। কার্যাদেশ অনুযায়ী প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে গত ৮ জানুয়ারি। প্রতি প্রকল্পে একজন করে মোট ৬৬ জন শ্রমিক সর্দারসহ প্রতিজন শ্রমিক দৈনিক ৪০০ টাকা করে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে হাজিরা ভাতার টাকা পাওয়ার কথা, কিন্তু প্রকল্পের কাজ তিন সপ্তাহ আগে শেষ হলেও শ্রমিকেরা তাঁদের মজুরির টাকা পাননি।
এ নিয়ে গত ২৭ জানুয়ারি আজকের পত্রিকায় ‘কাজ শেষেও মজুরি নেই দুর্ভোগে শ্রমিকেরা’ শিরোনামে খবর প্রকাশিত হওয়ায় পরদিন ২৮ জানুয়ারি ‘দ্রুত মজুরি পরিশোধ করা হোক’ শিরোনামে সম্পাদকীয় এবং একই দিন রাতে অনলাইন ভার্সনে ‘প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার ৩ সপ্তাহেও মেলেনি মজুরি, বিপাকে শ্রমিকেরা’ শিরোনামে খবর প্রকাশ হলে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়। ফলে মজুরির টাকা শ্রমিকদের মোবাইল বিকাশ অ্যাকাউন্টে পাঠানো উদ্যোগ গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
উপজেলার পাথর্শী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইফতেখার আলম বাবলু বলেন, ‘শ্রমিকদের বিকাশ অ্যাকাউন্টে তাঁদের মজুরির টাকা পেয়েছেন।’
প্রকল্প বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ে তদারকির দায়িত্বে থাকা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. নুরনবী মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ‘আমরা ৪০ কর্মদিবসের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে শ্রমিকদের ২০ দিনের মজুরির টাকা পাঠানোর জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে সুপারিশ করেছিলাম। আজ সন্ধ্যা থেকে শ্রমিকদের বিকাশ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তাঁদের মজুরির টাকা পাঠানো শুরু করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মেহেদী হাসান টিটু বলেন, যাচাই-বাছাই শেষে দ্বিতীয় পর্যায়ের বাকি ২০ কর্মদিবসের মজুরি পাঠানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর সুপারিশ করা হবে। এরপর শ্রমিকেরা তাঁদের মজুরির বাকি টাকা পেয়ে যাবেন।