নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি
শেরপুরের নকলায় প্রেমিকের ছুরিকাঘাতে সোহাগী আক্তার (২২) নামে এক কলেজছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ সোমবার ভোরে পৌরসভার কায়দা-বাজারদি মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সোহাগীর বাবা শহীদুল ইসলাম (৫০) ও ছোট ভাই সবুজ মিয়া (১৭) আহত হয়।
ঘটনার পর প্রেমিক আরিফুল ইসলামকে (৩২) আটক করেছে পুলিশ। তিনি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের পূর্ব শিয়ারচর লালখাঁ গ্রামের আলী হোসেন ব্যাপারীর ছেলে।
নিহত সোহাগী আক্তার ওই মহল্লার হোটেল শ্রমিক শহীদুল ইসলামের মেয়ে। তিনি স্থানীয় সরকারি হাজী জালমামুদ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাঁচ মাস আগে মোবাইলে আরিফুলের সঙ্গে সোহাগীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক সময় আরিফুল নকলায় এসে সোহাগীর সঙ্গে দেখা করেন। কিন্তু আরিফুলকে দেখে সোহাগীর পছন্দ না হলে তাঁদের সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। একপর্যায়ে সোহাগী আরিফুলের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেয়। এতে আরিফুল ক্ষিপ্ত হয়ে গতকাল রোববার রাতে নকলায় এসে সোহাগীর বাড়িতে ওত পেতে থাকে। আজ ভোরে সোহাগীর বাবা শহীদুল বাড়ির মেইন দরজা খোলে ঘর থেকে বের হতে চাইলে আরিফুল অতর্কিত হামলা চালিয়ে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করতে থাকেন। এ সময় শহীদুলের ডাকচিৎকারে সোহাগী ও তার ছোট ভাই সবুজ এগিয়ে এলে আরিফুল তাঁদেরও ছুরিকাঘাত করেন।
ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা আরিফুলকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পরে আহতদের মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহাগীকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় শহীদুল ইসলামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
পরিবারের বরাত দিয়ে নকলা থানার সহকারী পরিদর্শক (এসআই) সিরাজুল ইসলাম বলেন, সোহাগীর পরিবারের লোকজন আরিফুলের সঙ্গে তাঁর প্রেমের কথা জেনে গিয়েছিল। এ নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়। তবে প্রেম সংক্রান্ত জটিলতায় এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সহকারী পরিদর্শক আরও বলেন, ঘটনার পর আরিফুলকে আটক করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।