১২ দিন পর নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় অপহৃত এক কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার অসুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফেরে ওই কিশোরী। পরে পুলিশ তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এর আগে মঙ্গলবার কিশোরীর বাবা থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। পরদিন (বুধবার) পুলিশ উপজেলার গন্ডা ইউনিয়নের মরিচপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে মুসলিম উদ্দিনকে (২৭) গ্রেপ্তার করে।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ৭ মার্চ কেন্দুয়া সদর থেকে রোয়াইলবাড়ি-আমতলা ইউনিয়নের গ্রামের বাড়ি যাওয়ার পথে অপহরণের শিকার হয় ওই কিশোরী। এর পর থেকে পরিবারের সদস্যরা সম্ভাব্য জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন।
এরই মধ্যে ১৮ মার্চ ওই কিশোরীর বড় বোনের মোবাইল ফোনে একটি কল আসে। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে কিশোরীকে নির্যাতন করা হচ্ছে, এমন তথ্য জানায়। পরে কিশোরীর বাবা বিষয়টি থানা-পুলিশকে জানালে অপহরণের মামলা করা হয়।
পুলিশ ফোনকলের সূত্র ধরে তদন্ত করে বুধবার মুসলিম উদ্দিনকে তাঁর এলাকা থেকে আটক করে। এরপর আজ দুপুরে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় একাই বাড়িতে ফিরে আসে কিশোরী।
ওসি বলেন, কিশোরী ফেরার পরপরই চিকিৎসার জন্য দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে তাকে পুলিশি পাহারায় পাঠানো হয় নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে। মেয়েটি খুবই অসুস্থ। এ অবস্থায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হয়নি। কিশোরীর ডাক্তারি রিপোর্টে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেলে মামলায় ধর্ষণের আইন যুক্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।