নেত্রকোনার বারহাট্টায় ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে এক দোকানদারকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। গভীর রাতে দোকান খুলতে না চাওয়ায় কিলঘুষি দিয়ে মারাত্মক আহত করা হয় দোকানদারকে। শুক্রবার দিবাগত রাতে বারহাট্টা সদর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাচতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী দোকানদার রিয়াজউদ্দিন (৪৫) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুক্রবার দিবাগত রাত ১১টার সময় দোকান বন্ধ করি। খাওয়াদাওয়া করে আমি পরিবার নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। রাত ২টার দিকে একই এলাকার বাচ্চু (৩৮), সত্তার মেম্বার (৪২) ও রুবেল (৩৫) এসে আমাকে দোকান খোলার জন্য ডাকে। তাঁরা আমার দরজায় খুব জোরে ধাক্কাধাক্কি শুরু করে। তাঁরা বলতে থাকে স্পিড (পানীয়) দেওয়ার জন্য। তখন আমি তাদের বলি যে, প্রতিদিন ডিস্টার্ব করো কেন? দোকান তো আরও আছে, তাদের কাছে যাও। তখন সত্তার মেম্বার আমাকে উপর্যুপরি কিলঘুষি মারতে থাকে। তখন আমার স্ত্রী ফেরাতে এলে তাকে চুলে ধরে ধানখেতে ফেলে দেয়।’
ভুক্তভোগীর স্ত্রী রেজিয়া আক্তার (৩১) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই সত্তার একজন মাদকসেবী। সে আমার স্বামীর দোকানে বাকি খেয়ে টাকা দেয় না। তার ওপর অনেক রাতে এসে দোকান খোলার জন্য বিরক্ত করে। গত রাতে আমার সহজ-সরল স্বামীকে ওই সত্তার মেম্বার বেধড়ক মারধর করেছে। আমি বিষয়টি দেখতে গেলে আমাকেও মারধর করে সত্তার মেম্বার। আমি এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার চাই।’
বিষয়টি জানার জন্য অভিযুক্ত ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সত্তার মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘আমি দোকানে গিয়ে দোকান খোলার জন্য ডাকলে সে বলে যে আমি মেম্বার দেখার এত সময় নাই। সেখানে ২০-২৫ জন লোক ছিল ,তাই আমি তাকে একটু সময়টা দেখিয়ে দিয়েছি।’
এ বিষয়ে বারহাট্টা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লুৎফুল হক বলেন, ‘বিষয়টি শুনেই আমি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। এখন ভুক্তভোগী পরিবারটি লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’