Ajker Patrika
হোম > সারা দেশ > ময়মনসিংহ

আর কিছু চাই না, আমার স্বামীরে ফিরিয়ে দাও, কনস্টেবল মনিরুলের স্ত্রী

সাইফুল আরিফ জুয়েল, নেত্রকোনা

আর কিছু চাই না, আমার স্বামীরে ফিরিয়ে দাও, কনস্টেবল মনিরুলের স্ত্রী

রাজধানীর বারিধারায় ডিপ্লোম্যাটিক জোনে ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে সহকর্মীর গুলিতে নিহত পুলিশ কনস্টেবল মনিরুল হকের (২৭) গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার বিষ্ণুপুরে চলছে শোকের মাতম। 

মনিরুলের স্ত্রী তানিয়া আক্তার তন্বী দুই বছরের শিশু সন্তান তাকিকে জড়িয়ে ধরে বিলাপ করে বলছে-‘আর কিছু চাই না, আমার স্বামীরে ফিরিয়ে দাও।’ 

মনিরুলের বৃদ্ধা মা দেলোয়ারা হক ছেলের শোকে কান্নায় বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। দিনভর কেঁদে চোখের জল ফুরিয়ে গেছে। আর কান্নার শক্তি নেই, হাত-পা নাড়াচাড়া করার শক্তিও শেষ হয়েছে। এখন বিছানায় শুয়ে শুধু নীরবে চেয়ে রয়েছেন। তাঁর মুখে কোনো ভাষা নেই। বিছানায় বসে কাঁদছেন মনিরুলের বড় ভাই আমিনুল হক মিঠু। 

এদিকে প্রতিবেশী ও স্বজনেরা এসে বাড়িতে ভিড় করেছেন মনিরুলের শোকাহত পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে। কারও মুখে কোনো ভাষা নেই। সবাই নীরব। 

আর মনিরুলের দুই বছর বয়সী ছেলে তাকি বাড়িতে একসঙ্গে এত মানুষ দেখে একজনের কোল থেকে অন্যজনের কোলে চড়ে বেড়াচ্ছে। 

আজ রোববার সন্ধ্যায় মনিরুল হকের (২৭) গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার বিষ্ণুপুরে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়। 

মনিরুল বিষ্ণুপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত শামসুল হকের ছেলে। মনিরুলদের তিন ভাই তিন বোন। সবার ছোট মনিরুল। 

বিলাপ করছেন মা দেলোয়ারা হক। ছবি: আজকের পত্রিকামনিরুলের বড় ভাই আমিনুল হক মিঠু আজকের পত্রিকাকে বলন, ‘লাশ কখন আসবে জানি না। মনিরুল আমাদের সবার ছোট। সে আমাদের সবার আদরের। গত রোজায় বাড়ি এসেছিল। ছুটি বেশি না থাকায় দ্রুত এসে চলে গেছে। আগামীকাল সোমবার (১০ জুন) ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসার কথা ছিল। একসঙ্গে সবাই মিলে ঈদ করার কথা ছিল। কিন্তু আসবে লাশ হয়ে। এ দুঃখ সইবার মতো নয়।’ 

পরিবারের লোকজন জানায়, ২০১৪ সালে নেত্রকোনার আঞ্জুমান সরকারি উচ্চ থেকে এসএসসি পাশ করে মনিরুল। পরে ময়মনসিংহে একটি বেসরকারি পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়ে ৪র্থ সেমিস্টার পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। এরমধ্যে ২০১৬ সালের শেষের দিকে পুলিশের চাকরিতে যোগ দেন মনিরুল। 

তিন ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সবার ছোট মনিরুল। চাকরিতে থাকা অবস্থায় তিন বছর আগে জেলার পূর্বধলা উপজেলায় বিয়ে করেন। তাঁর স্ত্রীর নাম তানিয়া আক্তার তন্বী। তাকি নামে তাদের দুই বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। 

তারা আরও জানান, মনিরুলের বড় ভাই মাহবুব আলম টিটু পুলিশের একজন সদস্য। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) কর্মরত। 

মনিরুলের স্কুল সহপাঠী ও প্রতিবেশী ইবাদ হোসেন জানান, ‘মনিরুলদের ছয় ভাই-বোনের মধ্যে এক ভাই ছাড়া বাকি পাঁচজনই চাকরিজীবী। মনিরুল খুবই মিশুক ধরনের ছিল। পরিচিত ও বন্ধু-বান্ধবসহ সবার সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক ছিল।’

১৩ মাস পর যমুনায় সার উৎপাদন শুরু

ভালুকায় অটোরিকশায় প্রাইভেট কারের ধাক্কা, চালক নিহত

নকলায় ধর্ষণের আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে বিচার করতে থানা ঘেরাও

মাইনাসের ষড়যন্ত্র এখনো চলমান আছে: বাবর

শেরপুরে অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলকে মাইক্রোবাসের ধাক্কা, নিহত ২

এসপিবিকের অনিয়ম: ধারের শিক্ষার্থী দেখিয়ে অর্থ লোপাট

র‍্যাম্পে হাঁটল ১৩০ বিড়াল

১০ পার্সেন্ট ভোট পেলে স‍্যালুট দেব: জামায়াতের উদ্দেশে বিএনপি নেতা ফজলুর

বিদ্যালয়ের কমিটি নিয়ে সংঘর্ষ, অভিভাবক সদস্য নিহত

নান্দাইলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বদলি ঠেকাতে মানববন্ধন