জামালপুর সদরে ২৬ বছর আগে রফিকুল ইসলাম গাদু হত্যা মামলায় দুজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২-এর বিচারক মো. আবু বকর সিদ্দিক এই রায় ঘোষণা করেন। এতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রফিকুলের স্ত্রী লাইলী বেগম।
দণ্ডপ্রাপ্ত দুজন হলেন লেবু মিয়া ও মজনু মিয়া। মরদেহ গুমের ঘটনায় তাঁদের আরও সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং জরিমানা করা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় তাঁরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁদের জামালপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। নিহত রফিকুল সদর উপজেলার হাসিল গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এ কে এম নাজমুল হুদা জানান, ১৯৯৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর রাতে রফিকুল বাড়ির পাশের পুকুর পাহারা দিতে গিয়ে নিখোঁজ হন। পরদিন পুকুরপাড়ের ছাপরাঘরে খোঁজ নিয়ে ধস্তাধস্তির চিহ্ন এবং একটি গামছা পাওয়া যায়। গামছাটি স্থানীয় লেবু মিয়ার বলে শনাক্ত করেন প্রতিবেশীরা। অন্য দিকে ২৮ ডিসেম্বরে এক প্রতিবেশীর বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে রফিকুলের লাশ পাওয়া যায়। তাঁর গলায় প্যাঁচানো ছিল মজনু মিয়ার মাফলার।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী লাইলী বেগম সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ২০০০ সালের ৬ জুন ১৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। আজ রায়ে বাকি আসামিদের খালাস দেওয়া হয়।
দীর্ঘ ২৬ বছর পর এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী লাইলী বেগম। এই নারী জানান, তিনি স্বামী হত্যার বিচার পেয়েছেন। তবে তিনি আসামিদের ফাঁসির রায় কামনা করেছিলেন।