জামালপুরের মেলান্দহের উপজেলার পাঠানপাড়া এলাকার কাটাখালী নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি ২০১৮ সালে বন্যার পানির স্রোতে ভেঙে গেছে। এরপর পাঁচ বছরে পেরিয়ে গেলেও সেতুটির পুননির্মাণ করা হয়নি। এতে বীর ঘোষের পাড়া, চর ঘোষেরপাড়া, পূর্ব ছবিলাপুরসহ সেতুর আশপাশের গ্রামের অন্তত ২০ হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ সেতুর অভাবে তাঁদের প্রায় ৪ কিলোমিটার পথ ঘুরে চলাচল করতে হয়। এদিকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বলছে, একনেক সভায় এখানে ২১০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি নতুন সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন সেতুটির নকশার (ডিজাইন) কাজ চলছে। শিগশিগরই সেতুটি নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হবে।
সরেজমিন গেলে দেখা যায়, কাটাখালী নদীর ওপরের এই সেতুটির মাঝের অংশ ভেঙে পড়েছে। সেতুটির রেলিং ভেঙে রড নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৮ সালের বন্যায় পানির প্রবল স্রোতে এই সেতুর মাঝের অংশ ভেঙে নদীতে পড়ে যায়। গত পাঁচ বছরে এখানে সেতু নির্মাণের কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। এখন সেতুর অভাবে বীর ঘোষের পাড়া, চর ঘোষেরপাড়া, পূর্ব ছবিলাপুরসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। তাই ছবিলাপুর ও বংশীবেলতৈল এলাকা হয়ে প্রায় চার কিলোমিটার পথ বেশি ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে এখানকার সবাইকে।
বেলতৈল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাকিলা জান্নাত বলেন, ‘সেতুর অভাবে আমাদের নির্ধারিত সময়ে বিদ্যালয়ে যেতে অনেক কষ্ট হয়। অন্য রাস্তা দিয়ে বিদ্যালয়ে যেতে হয় অনেক সময় লাগে। সে জন্য অনেক ভাড়াও গুনতেও হয় আমাদের।’
ঘোষেরপাড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মান্নান বলেন, ‘বন্যার সময় সেতু ভেঙে গেছে। বাজারে যেতে অনেক পথ ঘুরতে হয়। এই সেতু ভাঙা থাকায় ছেলেমেয়ে ঠিকমতো স্কুলে যেতে পারছে না।
এ নিয়ে জানতে চাইলে জামালপুরের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সায়েদুজ্জামান সাদেক বলেন, ‘বন্যায় এমনভাবে সেতুটি ভেঙেছে, যে সেটি আর কোনোভাবেই মেরামতের উপযোগী ছিল না। তাই সেখানে একটি নতুন সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়। ২১০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি নতুন সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্তের একনেক সভায় অনুমোদন হয়েছে। এখন সেতুটির নকশার (ডিজাইন) কাজ চলছে। শিগশিগরই সেতুটির দরপত্র আহ্বান করা হবে।’