নেত্রকোনার পূর্বধলায় ৩ মাসের শিশুকে হত্যার অভিযোগে ওই শিশুর চাচিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার ওই হেনা আক্তার (১৪) নামে ওই নারীকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারী হত্যার কথা স্বীকার করেছেন বলে দাবি পুলিশের। হেনা আক্তার শিশুটির চাচা মো. স্বাধীন মিয়ার স্ত্রী।
পুলিশ বলছে, গত শুক্রবার বিকেলে কৈলাটি গ্রামের মো. এখলাস মিয়ার স্ত্রী নাছিমা তাদের ৩ মাস বয়সের কন্যাশিশু জনি আক্তারকে তাঁর দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শ্বশুরের কাছে রেখে অন্য কাজে যান। কিছুক্ষণ পরে কাজ থেকে ফিরে শ্বশুরের কোলে শিশুটিকে না পেয়ে জিজ্ঞেস করলে, শ্বশুর জানান কেউ একজন তাঁর কাছ থেকে নিয়ে গেছে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর বাড়ির পাশের একটি পুকুরে শিশুটিকে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে তাঁকে উদ্ধার করে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘শিশুটির রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় ওই দিনই এখলাস মিয়া বাদী হয়ে পূর্বধলা থানায় একটি মামলা করেন। এ ঘটনায় আজ সোমবার এখলাস মিয়ার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী হেনা আক্তারকে সন্দেহজনকভাবে আটক করে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদে হেনা স্বীকার করেন যে, সে শিশুটিকে কোলে নিয়ে তার ঘরে যাচ্ছিল। এ সময় ঘরের দরজার চৌকাঠে হোঁচট খেয়ে শিশুটি তার কোল থেকে পড়ে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে শিশুটি মারা গেছে ভেবে সে তাকে পাশের পুকুরে ফেলে দেয়।’
ওসি আরও বলেন, ‘আজ (সোমবার) হেনা আক্তারকে নেত্রকোনা আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’