দিন দিন বাড়ছে শীতের তীব্রতা। সন্ধ্যা থেকে বেলা ১০টা পর্যন্ত কুয়াশায় ঢাকা থাকছে চারদিক। ভোরবেলায় সামনের সবকিছুই দেখা যায় ধোঁয়াশার মতো। এই শীত ও কুয়াশাকে উপেক্ষা করে আসন্ন বোরো মৌসুমকে সামনে রেখে নেত্রকোনার হাওরাঞ্চল মদনে বীজতলা তৈরি করছেন কৃষকেরা। পৌরসভাসহ উপজেলার ৮ ইউনিয়নের কৃষকেরা বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বীজতলার পাশাপাশি বোরো জমি রোপণ করাও প্রস্তুতি চলছে।
এক ফসলি বোরো জমির ফসলের ওপর নির্ভরশীল নেত্রকোনার হাওরাঞ্চল মদন উপজেলার কৃষক পরিবারগুলো। উৎপাদিত বোরো ফসলের আয় দিয়ে সারা বছর পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন-যাপন করেন তাঁরা। তাই বোরো মৌসুমের শুরুতে প্রফুল্লতা বিরাজ করে হাওরাঞ্চলের কৃষক পরিবারগুলোর মাঝে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর বর্ষার পানি দ্রুত সরে যাওয়ায় কৃষকেরা আমন চাষে মনোযোগী হয়ে পড়েন। উপজেলায় ৯৮০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আমন চাষ হয় ৯৯০ হেক্টর জমিতে। নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আমন আবাদ বেশি হওয়ায় রবি শস্য সরিষার ওপর কিছুটা প্রভাব পড়েছে। এ দিকে এক ফসলি বোরো জমিতে আমন চাষ হওয়ায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রার সঠিক হিসাব তুলে আনতে মাঠে কাজ করছেন কৃষি অফিসের লোকজন। তবে গত বছর উপজেলায় ১৭ হাজার ৩৪০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে তা অর্জিত করা হয়। সেই রোপণকৃত বোরো জমির বিপরীতে বীজতলা তৈরি হয়েছিল ৮৮৯ হেক্টর জমিতে। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা বেশি হবে বলে দাবি করছেন উপজেলা কৃষি অফিস।