শেরপুর প্রতিনিধি
পেটের ক্ষুধা নয় পেটজুড়ে অন্য অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে দিনাতিপাত করছেন শারমিন আক্তার (২০)। অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতেও পারছে না তাঁর পরিবার। শেরপুর শহরের দমদমা কালিগঞ্জ মহল্লার হতদরিদ্র পরিবারের মেয়ে। একখণ্ড বসতভিটা ছাড়া আর কিছুই নেই তাঁদের। নিরুপায় হয়ে অবশেষে শারমিনের পরিবার দ্বারস্থ হয়েছে সরকারি পর্যায়সহ জনপ্রতিনিধি ও দানশীল ব্যক্তিদের। অসহায় পরিবারটি মেয়ের জীবন বাঁচানোর জন্য সবার সহায়তা চেয়েছে।
জানা যায়, শারমিনের দিনমজুর বাবা ছোয়াদ আলী (৭০) এখন মানসিক ভারসাম্যহীন। তাঁর প্রথম স্ত্রী সখিনা বেগম গর্ভের সন্তান শারমিনকে মাত্র দুই মাস বয়সেই রেখে ঢাকায় চলে যান। দ্বিতীয় স্ত্রী নিঃসন্তান খোদেজা বেগম শারমিনকে লালন-পালন করেন। প্রায় ছয় বছর আগে নালিতাবাড়ী উপজেলার বাইশকান্দা এলাকায় নাজমুল হাসান নামে এক তরুণের সঙ্গে বিয়ে হয় শারমিনের। কিন্তু স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের নির্যাতনে সেই সংসার টেকেনি। এরই মধ্যে তিন বছর আগে তাঁর শুরু হয় পেটের ব্যথা। পরে শেরপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা করালেও কিছু ধরা পড়েনি।
সম্প্রতি শারমিনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. তানজিনা লতিফ ও ডা. লিমন কুমার ধর জানান, শারমিনের ঋতুস্রাব দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় পেটে জমাট বেঁধে গেছে। ধীরে ধীরে জটিল আকার ধারণ করছে। সেটির অপারেশন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সম্ভব নয়। এ জন্য তাঁকে বাইরের কোনো বেসরকারি হাসপাতালে দ্রুত অপারেশন করানোর পরামর্শ দেন তাঁরা।
কিন্তু এ জন্য প্রায় ১ লাখ টাকার প্রয়োজন। শারমিনের দরিদ্র ও অসুস্থ বাবা পক্ষে এ অর্থ জোগাড় করা সম্ভব নয়। তাই শারমিনকে বাঁচাতে তাঁর পরিবার হৃদয়বান ব্যক্তিদের সহায়তা কামনা করেছেন।