হোম > সারা দেশ > ময়মনসিংহ

শেরপুরের মিষ্টি আলু রপ্তানি হচ্ছে জাপানে

জুবাইদুল ইসলাম, শেরপুর 

মিষ্টি আলুর খেত পরিচর্যা করছেন এক কৃষক। সম্প্রতি সদর উপজেলার জঙ্গলদি নয়াপাড়ায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

একসময় দরিদ্র মানুষের ক্ষুধা নিবারণের খাবার হিসেবে পরিচিত ছিল মিষ্টি আলু। সময়ের ব্যবধানে এখন সেই আলু বাণিজ্যিকভাবে চাষ করে বিদেশে রপ্তানি করছেন কৃষকেরা। শেরপুরের চরাঞ্চলে উৎপাদিত আলু যাচ্ছে জাপানে। সরাসরি খেত থেকে এগুলো কিনে নিচ্ছে এক জাপানি প্রতিষ্ঠান। ফলে দিন দিন বাড়ছে চাষের পরিমাণ।

জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে শেরপুরে ২০৫ হেক্টর জমিতে মিষ্টি আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। তা ছাড়িয়ে চাষ হয়েছে ২১২ হেক্টর জমিতে। জাপানে রপ্তানির কথা শুনে এবং লাভজনক ফসল হওয়ায় আলু চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের।

কয়েক বছর ধরে জাপানি কোম্পানির আগ্রহে চরাঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে মিষ্টি আলুর চাষ হচ্ছে। নারুতো জাপান কোম্পানি লিমিটেড এ বছর সদর উপজেলার বলাইয়ের চর, চর মোচারিয়া ও কামারের চরে আলু চাষের জন্য ৪৩ কৃষকের সঙ্গে চুক্তি করেছে। চুক্তি মোতাবেক ৯০ একর জমিতে কোকোই-১৪ জাতের আলু চাষ করেছেন স্থানীয় কৃষকেরা। চাষের উপকরণ বীজ, সার, কীটনাশক সব বিনা মূল্যে দিয়েছে কোম্পানি। উৎপাদনের পর প্রকল্পের সব আলু প্রতিষ্ঠানটি সরাসরি মাঠ থেকে কিনে নেবে। গত বছর ৫৮০ টাকা মণ দরে কিনলেও এ বছর দাম বাড়িয়ে ৬৫০ টাকা করা হয়েছে।

নারুতো জাপানের শেরপুর-জামালপুরের দায়িত্বে থাকা ফিল্ড অফিসার মো. জাকারিয়া জানান, কোম্পানিটি আলু কিনে নিয়ে আলু সেদ্ধ, চিপস, মিষ্টি এসব তৈরি করে বিক্রি করে। এই প্রক্রিয়াজাত খাবার জাপান, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে বিক্রি করা হয়।

সম্প্রতি সদর উপজেলার বলাইয়ের চর ইউনিয়নের জঙ্গলদি নয়াপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ জায়গাজুড়ে চাষ হয়েছে মিষ্টি আলু। কৃষকেরা খেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। এ সময় স্থানীয় কৃষক কমেদ আলী জানান, তিনি গতবার এক একর জমিতে আলুর চাষ করেছিলেন। খরচ বাদ দিয়ে ৪০ হাজার টাকা লাভ হয়েছিল। এবার কোম্পানি দাম বাড়ানোয় বাড়তি লাভ হবে বলে আশা করছেন তিনি।

আরেক কৃষক খোরশেদ আলম জানান, একরপ্রতি আলুর ফলন হয় ২৫০ থেকে ৩০০ মণ পর্যন্ত; যা দেড় থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা যায়। পরিচর্যা ও উত্তোলনের শ্রমিক খরচ ছাড়া আর কোনো খরচ নেই তাঁদের। কৃষক রফিক মিয়া বলেন, নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে সাধারণত আলু লাগানো হয়। মধ্য ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চের প্রথম সপ্তাহে ফলন সংগ্রহ করা যায়।

এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন জানান, শেরপুরের চরাঞ্চলের মাটি মিষ্টি আলু চাষের জন্য খুবই উপযোগী। এ আলু প্রক্রিয়াজাত করে অনেক খাদ্যপণ্য বানিয়ে জাপানে রপ্তানির পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন সুপারশপে বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য মিষ্টি আলুর খোসা সাধারণত ফেলে দেওয়া হয়। কিন্তু কোকোই-১৪ জাতের আলু খোসাসহ খাওয়া যায়। জাপানিরা এ আলু সেদ্ধ কেকের মতো প্যাকেটে ভরে বিক্রি করে।

ময়মনসিংহে ডিসি কার্যালয় ঘেরাও অটো চালকদের

৫ আগস্টের ঘটনায় উত্তরার হত্যা মামলায় আসামি বকশীগঞ্জের লোকজন, চাঁদাবাজির অভিযোগ

ময়মনসিংহে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

বকশীগঞ্জে বিয়ের ১৮ দিনের মাথায় নববধূর লাশ, শাশুড়ি আটক

ময়মনসিংহে ৩৬ থানা–পুলিশের কার্যক্রম সিসি ক্যামেরায় মনিটরিং

বাবরকে বরণে তোরণ-ফেস্টুনে সেজেছে হাওরাঞ্চল

তাবলিগ জামাতের সংকট নিরসনে শিক্ষার্থীদের ৩ প্রস্তাব

জামালপুরে আইনজীবীর জামিন নামঞ্জুর, আদালত প্রাঙ্গণে হট্টগোল

ময়মনসিংহে মাজার ভাঙচুরের ঘটনায় ক্ষতিপূরণ দাবি

ভালুকায় শিশুর গলায় ‘দা’ ঠেকিয়ে দুর্ধর্ষ ডাকাতি

সেকশন