অল্প বৃষ্টিতে জামালপুরের ইসলামপুর-ঝগড়ারচর সড়কের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের। জলাবদ্ধতা নিরসনে কর্তৃপক্ষ দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয় না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বৃষ্টি শুরু হয়। আধা ঘণ্টার বৃষ্টিতে ইসলামপুর-ঝগড়ারচর সড়কের ১৪ কিলোমিটার এলাকার অন্তত অর্ধশত স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলার চরদাদনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংলগ্ন মোড়, বটচর মোড়, পোড়ারচর দাখিল মাদ্রাসা ব্রিজের পশ্চিম পাশে, পেড়ারচর বাজার, পোড়ারচর মণ্ডলপাড়া বাজারের পশ্চিম পাশে, পোড়ারচর পূর্বপাড়া মোড়, টুংরাপাড়া মোড়, চন্দনপুর পশ্চিমপাড়া মোড়, চন্দনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে, চন্দনপুর পূর্বপাড়া মোড়, কড়ইতলা মোল্লা বাজারসহ অর্ধশত স্থানে সড়কে বৃষ্টির পানি জমেছে। এতে একদিকে, চলাচলে পথচারীদের চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
সড়কের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দেওয়ায় ইট ও পিচ ওঠে খানাখন্দের সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ সড়কে জলাবদ্ধতা নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
গাইবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য সুজা মিয়া বলেন, ‘সড়কে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা নিরসনে অনেক কথা মাঝেমধ্যেই শোনা যায়। কিন্তু আমরা কাজের কাজ কিছুই দেখছি না। বিশেষ করে বাজার এলাকায় সড়কে বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় বাজারে আগতরা চরম ভোগান্তির শিকার হন।’
গাইবান্ধা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সরকার সড়ক নির্মাণে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেও সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব অবহেলায় তা যথাযথ কাজে আসছে না। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না রেখেই সড়কের নির্মাণকাজ শেষ করায় সামান্য বৃষ্টি হলেও সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসীসহ পথচারী।’
স্থানীয় অটোরিকশা চালক হাসমত আলী বলেন, ‘সড়কের জলাবদ্ধতা হওয়ায় চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হয়। মাঝে-মধ্যেই অটোরিকশা উল্টো দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে।’
সড়কে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় দোকানের মালামাল আনা-নেওয়ায় ভোগান্তির শিকার হন বলে জানান ঝগড়ারচর বাজারের ব্যবসায়ী এনামুল হক। তিনি বলেন, ‘দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার প্রয়োজন।’
পোড়ারচর টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজে অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ জানান, সামান্য বৃষ্টি হলেও সড়কে পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এতে চলাচলে মানুষ যেমন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন তেমনি ইট-সিমেন্ট ওঠে সড়কে খানাখন্দের সৃষ্টি হচ্ছে।
গাইবান্ধা ইউপির চেয়ারম্যান মাকছুদুর রহমান আনছারী বলেন, ‘সড়কে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের জন্য আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এটা বড় বাজেটের প্রয়োজন। এরপরও সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মো. আমিনুল হক বলেন, ‘সড়কে জলাবদ্ধতা প্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে। আশা রাখি, শিগগিরই সমস্যার সমাধান হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘সড়কে জলাবদ্ধতার বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া হবে।’