নেত্রকোনা প্রতিনিধি
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে এক যুবককে কুপিয়ে জখম এবং বাসায় ঢুকে ভাঙচুর ও লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজনের বিরুদ্ধে। গত ২৭ নভেম্বর মধ্যরাতে পৌরশহরের মাইলোড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গত শুক্রবার থানায় অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার।
মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম অভিযোগ পাওয়ার বিষয় আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, সুলতান মিয়া তালুকদার নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভুক্তভোগীরা হলেন পৌরশহরের মাইলোড়া এলাকার বাসিন্দা মৎস্য আড়ত ব্যবসায়ী সুলতান মিয়া তালুকদার এবং তাঁর ছেলে ইমরান মিয়া ও মিল্টন মিয়া। হামলাকারীদের রামদার কোপে মিল্টন গুরুতর জখম হয়েছেন। অভিযোগ ওঠা ব্যক্তিরা হলেন মাইলোড়া এলাকার মো. মোস্তাক মিয়া (৫৫) ও লিমন মিয়া (৩০) এবং দেওথান এলাকার রুমান মিয়া (৩১)।
সুলতান মিয়া বলেন, প্রতিবেশী মোস্তাক মিয়ার বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিলেন লিমন মিয়া। খবর নিয়ে জানতে পারি লিমন একজন বাসায় মাদক ও সন্ত্রাস প্রকৃতির লোক। এসব কারণে লিমনকে তাঁর এলাকা থেকে লোকজন তাড়িয়ে দিয়েছেন। এই কথা মোস্তাককে জানাই। বিষয়টি জানতে পেরে লিমন ও তাঁর সঙ্গীরা আমার ওপর ক্ষিপ্ত হন।
সুলতান মিয়া আরও বলেন, গত ২৭ নভেম্বর মধ্যরাতে মোস্তাকের বাসায় ঝামেলা শুরু করেন লিমন, রুমানসহ কয়েকজন। চিৎকার শুনে এগিয়ে যায় আমার ছেলে মিল্টন। তখনই রামদা নিয়ে মিল্টনকে তাড়া করে কুপিয়ে জখম করে তাঁরা। মিল্টনকে টেনে বাসার ভেতর ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলে তাঁরা আমার বাসায় হামলা চালায়। একপর্যায়ে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। পরিবারের পুরুষ সদস্যরা রান্না ঘরের পেছনে টিন খুলে পালিয়ে গিয়ে আত্মরক্ষা করি। নারীরা ঘরের ভেতর খাটের নিচে ঢুকে যায়।
লিমন ও তাঁর লোকজন ঘরে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় বলে দাবি করেছেন সুলতান মিয়া। তিনি বলেন, ঘরে থাকা মাছের আড়তের ব্যবসার চার লাখ ২০ হাজার টাকা, তিন ভরি স্বর্ণালংকার, ঘরের ফ্রিজ, গ্যাসের চুলাসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় আমাদেরকে হত্যার হুমকি দিয়ে গেছে।
সুলতান মিয়া বলেন, হামলাকারীদের ভয়ে বাসা ফেলে গ্রামের বাড়িতে চলে এসেছি। শহরে আসতে পারছি না। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েছি কিন্তু মামলাও হচ্ছে না। খুব বিপদে আছি।
এদিকে, অভিযোগ ওঠা ব্যক্তিরা এলাকায় না থাকায় হামলা ও লুটপাটের বিষয়ে তাঁদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।