নেত্রকোনায় নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। এতে তলিয়ে যাওয়া বাড়িঘর থেকেও পানি ধীরে ধরে নামছে। তবে সেখানের মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। এলাকায় নানা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার শঙ্কায় স্বাস্থ্যসেবা দিতে গঠন করা হয়েছে মেডিকেল টিম।
জেলা সিভিল সার্জন মো. সেলিম মিয়া জানান, জেলায় বন্যার পানি কমতে শুরু করায় বর্তমান সময়ে সেখানের মানুষের মাঝে নানা রোগ দেখা দেওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই তাদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যালেটসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ নিয়ে ৮৬টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিমগুলো বন্যার পানি ওঠা এলাকাগুলোয় কাজ করছে।
তা ছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট সবাই কাজ করছে। আশা করছি স্বাস্থ্য বিষয়ে কোনো সমস্যা হবে না। সবাই চিকিৎসা পাবেন বলেন, সিভিল সার্জন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, জেলার কলমাকান্দা, সদর, বারহাট্টা ছাড়াও হাওরাঞ্চলের মদন, মোহনগঞ্জ, খালিয়াজুরীতে পানিবন্দী মানুষের সংখ্যা কমে প্রায় ১০ হাজারে নেমে এসেছে। যেসব এলাকায় বাড়ির আঙিনা থেকে পানি নেমেছে সেখোনেও কাদায় সয়লাব থাকায় ঘর থেকে বের হতে দুর্ভোগে আছেন সেখানের মানুষ। গবাদিপশু, শিশুখাদ্যের সংকটের পাশাপাশি সুপেয় পানিরও সংকট রয়েছে।
আজ রোববার সকাল ৯টার দিকে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সারওয়ার জাহান বলেছেন, কলমাকান্দা পয়েন্টে উপদাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। এ ছাড়া জেলার হাওরাঞ্চলের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া ধনু নদের পানি খালিয়াজুরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রয়োজনীয় ত্রাণ তৎপরতা চলছে। নদ-নদীর পানিও কমছে।’