রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার তারাপুর উচ্চবিদ্যালয়ে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল মাত্র একজন। ফলাফল প্রকাশের পর জানা গেছে সেও ফেল করেছে। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে নানা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে শিক্ষা দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে।
স্কুল সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৭ সালে নিম্নমাধ্যমিকের পাঠদানের মাধ্যমে বিদ্যালয়টি চালু করা হয়। কয়েক বছর আগে মাধ্যমিকের পাঠদানের অনুমতি পায়। তবে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের কারণে স্কুলটি শিক্ষার্থীর সংকটে রয়েছে। এখন পর্যন্ত ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত খাতা-কলমে শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র ৮০।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিদ্যালয়টিতে গিয়ে দেখা গেছে, স্কুলের প্রায় সব কক্ষ বন্ধ অবস্থায় পড়ে আছে। একটি কক্ষে মাত্র সাত জন শিক্ষার্থী বার্ষিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে। অন্যদিকে পুরো প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক রয়েছেন মাত্র দুজন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, খাতা-কলমে বিদ্যালয়ে অনেক ছাত্রছাত্রী আছে দেখানো হলেও বাস্তবতা ভিন্ন। প্রতিষ্ঠানটি রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকায় অভিভাবকেরা তাঁদের ছেলেমেয়েদের এখানে ভর্তি করান না। ফলে প্রতিষ্ঠানটি শুরু থেকেই শিক্ষার্থীর সংকটে রয়েছে। শুধু তাই নয়, এ বছর মাত্র একজন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। কিন্তু সেও ফেল করেছে।
এ বিষয়ে জানতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম মুক্তারকে মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি জানান, ব্যস্ত আছেন। পরে কথা বলবেন। এ কথা বলেই কল কেটে দেন রফিকুল ইসলাম। এরপর একাধিকবার কল করা হলেও তাঁকে আর পাওয়া যায়নি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা আক্তার জাহান বলেন, তারাপুর উচ্চবিদ্যালয়ের বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।