বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়া-১ (সোনাতলা-সারিয়াকান্দি) আসনে সোনাতলা উপজেলার একটি ভোট কেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান শ্যামলের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। হামলায় প্রার্থীসহ তিনজন আহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এ সময় প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।
নৌকা মার্কার প্রার্থীর সমর্থক সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নবীন আনোয়ার কমরেডের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ ছাড়াও বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা করার অভিযোগ উঠেছে।
সোনাতলা উপজেলার রানির পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে সকাল ১০টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কমরেড বিভিন্ন জায়গায় ঝামেলা করছে। তাকে আটক করার চেষ্টা চলছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান শ্যামলের সমর্থক আপেল মাহমুদ বলেন, রোববার সকাল ১০টার দিকে মোস্তাফিজুর রহমান শ্যামল রানীরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন। এ সময় নৌকা মার্কার কর্মী নবীন আনোয়ার কমরেডের নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন মোস্তাফিজারের ওপর হামলা করে মারধর শুরু করে। এতে প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান ছাড়াও তার ছেলে ইয়ালিদ বিন রহমান, ভাতিজা সামছুজ্জোহা বিপ্লব বদরুদ্দোজা জিপু আহত হন। এ সময় মোস্তাফিজার রহমানের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ ছাড়া কমরেড বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে নৌকা মার্কার পক্ষে প্রভাব বিস্তার করে চলছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জানালেও তারা কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।
তিনি বলেন, প্রার্থীর ওপর হামলার বিষয়ে তাৎক্ষণিক রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
প্রিসাইডিং অফিসার সামিউল আলম বলেন, আমার সঙ্গে কোনো প্রার্থী খারাপ আচরণ করেননি। ভোট কেন্দ্রে উভয় পক্ষের মধ্যে সামান্য ঝামেলা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রশিদ বলেন, বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে প্রার্থীরা বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ করছেন। আমরা অভিযোগ যাচাই বাছাই করে ব্যবস্থা নিচ্ছি। ভোটকেন্দ্রে প্রার্থীর এজেন্ট প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করলে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।