পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) সেকশন কর্মকর্তাকে ‘স্যার’ না বলায় এক ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ বুধবার প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন ওই ছাত্রীর বিভাগের সহপাঠীরা। সেই সঙ্গে ঘটনার বিচার চেয়ে একটি অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর জমা দেন তাঁরা।
এর আগে গত সোমবার ভুক্তভোগী তাঁর রেজিস্ট্রেশন কার্ড সংশোধন করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিসের একাডেমিক শাখায় গেলে এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরের প্রধান ড. নাজমুল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে অভিযোগপত্র পেয়েছি। মাননীয় উপাচার্য ম্যামের উপস্থিতিতে আগামী শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সুষ্ঠু তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
ভুক্তভোগী আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁর একাডেমিক রেজিস্ট্রেশন কার্ডের সংশোধন করার জন্য রেজিস্ট্রার অফিসে যান তিনি। সেখানে সেকশন অফিসার শেখ মাহমুদ কাননকে ভাই বলে সম্বোধন করায় তিনি ক্ষুব্ধ হন। এ সময় তিনি তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরও ভাই বলতে বলেন। শিক্ষকদের ভাই বলতে রাজি না হলে বিতর্কের একপর্যায়ে তাঁকে ‘স্যার’ বলতে বাধ্য করেন সেকশন অফিসার মাহমুদ কানন। এতে তিনি ভীত ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
তবে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য দুঃখ প্রকাশ করে সেকশন অফিসার শেখ মাহমুদ কানন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টা একটু ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছে। আমার ১২ বছরের কর্মজীবনে এমন পরিস্থিতি হয়নি। কারও সঙ্গেই আমি কখনো খারাপ ব্যবহার করিনি, করবও না। বিষয়টা আমি একভাবে বলেছি, উনি হয়তো বুঝেছেন অন্যভাবে।’