রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মনসুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৩ কোটি ৬০ লাখ ৩৪ হাজার টাকা অর্জনের অভিযোগে গতকাল মঙ্গলবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এই মামলা করা হয়।
মামলার বাদী দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাইন উদ্দিন। মনসুর রহমান একাদশ জাতীয় সংসদের এমপি ছিলেন।
দুদকের মামলায় বলা হয়েছে, মনসুর রহমান ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ পর্যন্ত সময়ে অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জন করেন। তাঁর ব্যাংক হিসাবের বিবরণীর সূত্রে বলা হয়েছে, এই সময়ে মনসুর রহমান নিজের নামের তিনটি ব্যাংক হিসাবে ২৭টি জমা ভাউচারের মাধ্যমে মোট ৬ কোটি ১০ লাখ টাকা জমা করেন। এর মধ্যে ৩ কোটি ৬০ লাখ ৩৪ হাজার ৪৯২ টাকা তিনি কীভাবে, কোন উৎস থেকে উপার্জন করেছেন তার সূত্র উল্লেখ করেননি।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের একটি দল মনুসর রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আসার পর প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু করেন। অনুসন্ধানে তাঁর বিপুল অবৈধ সম্পদের তথ্য পায় দুদক।
দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাইন উদ্দিন জানান, প্রাথমিক তদন্তে অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়ায় মনসুরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি এখন তদন্ত করা হবে।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে আছেন মনসুর রহমান। ইতিমধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে চারটি মামলা হয়েছে। এমপি হওয়ার আগে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে এলাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জনবল নিয়োগ ছাড়াও টিআর কাবিখার বরাদ্দ বিক্রির মাধ্যমে বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালেই উঠেছিল।