বগুড়ায় গভীর রাতে র্যাবের পোশাক পরে এক শিক্ষার্থীকে অপহরণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। এদিকে অপহৃত ওই শিক্ষার্থীর স্বজনদের কাছ থেকে মুক্তিপণ নিতে গিয়ে নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকায় এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ। পরে ওই শিক্ষার্থীকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় নরসিংদীর মাধবদী থানার পুলিশ উদ্ধার করেছে।
বগুড়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
গত শুক্রবার রাতে বগুড়া শহরের জহুরুল নগর এলাকার একটি ছাত্রাবাস থেকে ফেরদৌস সরকার (২৫) নামের ওই শিক্ষার্থীকে র্যাবের পোশাক পরা কয়েকজন মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। ফেরদৌস বগুড়া সরকারি শাহ সুলতান হক কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্র। তিনি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাই গ্রামের হাবিল সরকারের ছেলে।
ফেরদৌসের স্ত্রী মাহবুবা বেগম বলেন, ‘গত শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে মাইক্রোবাসযোগে আসা র্যাবের পোশাক পরা কয়েকজন ছাত্রাবাস থেকে ফেরদৌসকে ডেকে বের করে। এরপর তাঁকে মারধর করে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। গতকাল শনিবার সকালে আমাদের কাছে ফোন করে ৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন নম্বরে বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে ৩ লাখ টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু তার পরও ফেরদৌসকে মুক্তি না দিয়ে আরও টাকা দাবি করে।’
মাহবুবা বেগম আরও বলেন, ‘বিষয়টি জানালে বগুড়া জেলা পুলিশ তৎপরতা শুরু করে। বিকেল ৫টার দিকে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার পুলিশ টাকা নিতে আসা এক নারীকে আটক করে। নরসিংদীর মাধবদীতে ফেরদৌসকে হাত-পা বেঁধে রাস্তার পাশে ফেলে রাখা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় তাঁকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, অপহরণের ঘটনায় ফেরদৌসের স্ত্রী মাহবুবা বেগম বাদী হয়ে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বগুড়া সদর থানায় মামলা করেছেন। নারায়ণগঞ্জে আটক নারী ও নরসিংদীর মাধবদী থেকে অপহৃত ফেরদৌসকে বগুড়ায় আনার পর বিস্তারিত জানা যাবে।