রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) কবরের জায়গার দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। একটি কবর পাকাকরণের জন্য যতটুকু জায়গা দরকার, তার দাম অন্তত ৪৫ লাখ টাকা নির্ধারণের সিদ্ধান্তের সুপারিশ করছে রাসিকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ। রাসিকের আগামী সাধারণ সভায় অনুমোদনের জন্য কবরের মাটির মূল্য বৃদ্ধির এই সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
জানা যায়, রাজশাহী মহানগরীতে এখন কবরস্থানের সংখ্যা ৪৪টি। কবরস্থানগুলোর প্রায় সব জায়গায় কবরে কবরে ভরে গিয়েছে। সংকট দেখা দিয়েছে নতুন কবরের জায়গার। তাই এখন নতুন করে কবরস্থানগুলোতে মাটি ফেলা হচ্ছে। ফলে আগের কবরগুলো সব নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু যেসব কবর ইট দিয়ে পাকা করা আছে সেগুলো আগের মতোই থাকছে। ওই কবরগুলোর জায়গায় আর নতুন কবর হবে না।
তাই এভাবে কবর পাকাকরণে নিরুৎসাহিত করছে সিটি করপোরেশন। আর এ কারণেই কবরের মাটির উচ্চমূল্য নির্ধারণ করা হচ্ছে। কেউ কবর ইট দিয়ে পাকা করতে চাইলে মাটি কিনতে হবে চড়া দামে। তবে সাধারণ কবরের জন্য টাকা দিতে হবে না। পাকা কবরের মূল্য সাধারণ সভায় পাস না হওয়ায় সিটি করপোরেশন মাটি বিক্রি বন্ধ রেখেছে। গত কয়েক মাস ধরে নতুন পাকা কবর হচ্ছে না।
আজ মঙ্গলবার সকালে শহরের গৌরহাঙ্গা কবরস্থানে গিয়ে দেখা যায়, শ্রমিকেরা মাটি ফেলে সংস্কারের কাজ করছেন। কবরস্থানটির গোটা এলাকা সমান হয়ে গেছে। শুধু তিন-চারটি কবর পাকা থাকায় সেগুলো আগের মতোই আছে। সবচেয়ে বেশি পাকা কবর আছে নগরীর হেতেমখাঁ কবরস্থানে। এই কবরস্থানেও চলছে সংস্কারের কাজ।
রাসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নূর ইসলাম তুষার জানান, প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে শহরের ৪৪টি কবরস্থান সংস্কার করা হচ্ছে। কবরস্থানগুলোতে মাটি ভরাটের পাশাপাশি রাস্তা, অজুখানা, জানাজা শেড ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হচ্ছে। নতুন কবরের জায়গা সংকুলানের সমস্যার কারণে প্রথমবার কবরস্থানগুলোতে মাটি ভরাট করা হচ্ছে। ফলে পুরো কবরস্থানেই আবার নতুন করে কবর করা সম্ভব হবে।
নূর ইসলাম জানান, কবর পাকা করলে সেখানে পরবর্তীতে আর কবর করা সম্ভব না। তাই এ ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করতে অন্তত ৪৫ লাখ টাকা মাটির মূল্য করার সুপারিশ করা হচ্ছে। সিটি করপোরেশনের সাধারণ সভায় প্রস্তাবটি অনুমোদনের অপেক্ষায়।