শ্রমিকের জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার করার দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট বগুড়া শাখা। আজ শুক্রবার শহরের সাতমাথায় এই দাবিতে মিছিল সমাবেশ করেছে সংগঠনটি। এ সময় ঈদের ছুটির আগেই শ্রমিক-কর্মচারীদের এপ্রিল মাসের বেতন, পূর্ণ বোনাসসহ সকল বকেয়া পাওনা পরিশোধ, শ্রমজীবীদের জন্য নিত্যপণ্যের রেশনিং ব্যবস্থা চালু করার দাবিও জানানো হয়।
তিন দফা দাবিতে শহরের প্রধান প্রধান সড়কে মিছিল শেষে সাতমাথায় সমাবেশ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের বগুড়া জেলা সভাপতি সাইফুজ্জামান টুটুল। বক্তব্য রাখেন বাসদ বগুড়া জেলা আহ্বায়ক কমরেড অ্যাড. সাইফুল ইসলাম পল্টু, শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুরেশ চন্দ্র দাস মনো, প্রচার সম্পাদক সানোয়ার হোসেন বাবুসহ অন্যরা।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘ঈদের ছুটির আগেই শ্রমিক-কর্মচারীদের এপ্রিল মাসের বেতন, পূর্ণ বোনাসসহ সকল বকেয়া পাওনা পরিশোধে মালিকদের টালবাহানা সহ্য করা হবে না। দেশের সবচেয়ে আলোচিত শিল্প পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের মজুরি ২০১০ সাল থেকে পরবর্তী ৯ বছরে বৃদ্ধি পেয়েছে ৫০ শতাংশ একই সময়ে তাদের খাদ্য বাবদ ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে ৬০ শতাংশ আর আবাসন ব্যয় বেড়েছে ১১০ শতাংশ। ২০১৮ সালের সর্বশেষ মজুরি ঘোষণার পর থেকে বার্ষিক ৫ শতাংশ হারে মজুরি বৃদ্ধিতে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি পেয়েছে ২০ শতাংশ আর খাদ্যসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে ৭০ থেকে ১২০ শতাংশ। অর্থাৎ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, আবাসন-চিকিৎসা ব্যয়সহ জীবনযাপনের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় শ্রমিকদের প্রকৃত মজুরি কমে যাচ্ছে এবং শ্রমিকদের জীবনমানের মারাত্মক অবনতি হচ্ছে। শ্রমিকদের মজুরির মান ধরে রাখতে এবং তাদের পুষ্টি নিশ্চিত করতে রেশনিং এর মাধ্যমে নিত্যপণ্য সরবরাহ করতে হবে।’
নেতৃবৃন্দ আয় বৈষম্য কমিয়ে একটি দীর্ঘস্থায়ী স্থিতিশীল শিল্প সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা ঘোষণাসহ স্কপের ৯ দফা বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।