নাটোরের বড়াইগ্রামে এক বাক্প্রতিবন্ধী তরুণীকে (২৬) ধর্ষণের অপরাধে তিন কিশোরকে ১০ বছর আটকাদেশ দিয়েছেন আদালত। দোষীদের বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ায় শিশু আইনের বিধান অনুযায়ী প্রত্যেককে সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছর করে সংশোধনাগারে আটকের নির্দেশ দেওয়া হয়।
আজ সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ আদেশ দেন।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ২০ মার্চ দুপুরে বাড়ির পাশে একা পেয়ে অভিযুক্ত তিন কিশোর ওই বাক্প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে স্থানীয়রা বুঝতে পেরে এগিয়ে গেলে কিশোরেরা পালিয়ে যায়। পরে উপস্থিত লোকজন ভুক্তভোগীকে তরুণীকে উদ্ধার করে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় তরুণীর ভাই বাদী হয়ে অভিযুক্ত কিশোরদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার দাস ওই বছরের ২৩ জুন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরবর্তীতে মামলাটি বিচারের জন্য শিশু আদালতে যায়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ এ রায় ঘোষণা করা হয়।
এ বিষয়ে আদালতের প্রসিকিউটর আনিছুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আইনের দৃষ্টিতে কিশোরেরা অপ্রাপ্তবয়স্ক। প্রাপ্তবয়স্ক হলে এ অপরাধের জন্য তাদের আরও কঠোর শাস্তি হতো।’
তিনি আরও বলেন, ‘রায় ঘোষণার পর তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে তাদের কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হবে।’