নাটোরের লালপুর উপজেলায় জালিয়াতির মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভুয়া নিয়োগপত্র প্রদান ও অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে নাটোর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের মোহরকয়া (ভাঙ্গাপাড়া) এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ভুয়া নিয়োগপত্র ও স্ট্যাম্প পেপার জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মো. মিরন ইসলাম মোস্তাক (৩৪)। তিনি ওই গ্রামের নুর মোহাম্মদ মালিথার ছেলে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তার মিরন কৌশলে ভুক্তভোগীর চাকরিপ্রত্যাশী ছেলেকে সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। ভুক্তভোগী গত বছরের ৬ জুলাই ১০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নগদ ৩ লাখ টাকা মিরন ইসলামকে দেন। পরবর্তী সময়ে ২৫ জুলাই আরও ২ লাখ এবং ২৯ জুলাই ২০ হাজার টাকা প্রদান করেন। পরে অবশিষ্ট ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা জন্য ভুক্তভোগীর ছেলের নামের ব্যাংকের চেক বইয়ের তিনটি ফাঁকা চেক দিলে মিরন ভুক্তভোগীকে সেনাবাহিনীর সৈনিক পদে ভর্তির ভুয়া নিয়োগপত্র দেন।
ওই নিয়োগ পত্রটি নিয়ে ছেলেসহ ৩১ জুলাই চট্টগ্রামের বায়েজিদ ক্যান্টনমেন্টের সামনে গেলে মো. মিরন ইসলাম মোস্তাক ভুক্তভোগীকে ফোন দিয়ে নিয়োগপত্রটি কাউকে দেখাতে নিষেধ করে বলেন ‘আমার লোক আপনার কাছে যাবে।’ দ্বিতীয় দিন গেলে তখনও একই কথা বলা হয়। তৃতীয় দিন ফোন করে বলেন, ‘বাড়িতে আসেন আপনার টাকা ফেরত দেব।’ ভুক্তভোগীর কাছে বিষয়টি সন্দেহ হলে তখন তিনি নিয়োগপত্রটি সেখানে একজন সেনাবাহিনীর সদস্যকে দেখালে সেনাবাহিনীর সদস্য জানান, নিয়োগপত্রটি সঠিক নয় বা ভুয়া।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তার ব্যক্তি অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছেন।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহম্মেদ বলেন, অভিযোগকারী বাদী হয়ে লালপুর থানায় গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতারনা মামলা দায়ের করেছেন। আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে নাটোর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।